গাজীপরের শ্রীপুরে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে পৃথক দুটি অভিযোগ হয়েছে শ্রীপুর মডেল থানায়। হামলার সময় জাতীয় জরুরি (সেবা-৯৯৯) নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশের সহায়তা নেন ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই এলাকার আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী খোদেজা বেগম ও জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
অভিযুক্তরা হলেন, বরমীর মোসলেম মাস্টারের ছেলে রাসেল,পাইটাল বাড়ির সিরাজের ছেলে মাসুম,বরকুলের কামালের ছেলে রিপন, আবু তালেব, বরমীর বিজয় ও মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাজিবসহ অচেনা কয়েকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খোদেজার ছেলে রুবেলের কাছে বেশকিছু দিন যাবত মোটা অংকের টাকা (চাঁদা) দাবী করছে অভিযুক্তরা। টাকা না দেয়ায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে,রুবেলকে না পেয়ে বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় প্রধান অভিযুক্ত রাসেল ও তার সহযোগীরা।
এসময় রোকেয়ার মুদি দোকান ও খোদেজার বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেন।
খোদেজা বেগম বলেন, আমার ছেলে রুবেল প্রবাসী, সে বিদেশ থেকে কিছুদিন পূর্বে দেশে এসেছেন। কিন্তু সম্প্রতি অভিযুক্তরা আমার ছেলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। ওই টাকা না পেয়ে রাতের অন্ধকারে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর করেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান। প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন রোকেয়া বেগম।
অভিযুক্ত রাসেল, মাসুম, বিজয়ের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি বরমী এলাকার পাবলিক তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। রুবেল নিজে এ ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ষড়যন্ত্র করছে। সে মাদক ব্যবসায়ী তাই তাকে এলাকাবাসী খুঁজতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে রুবেলের বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় কোন মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক ঘটনায় মামলা রয়েছে বলে রাসেল নিজেই স্বীকার করেন।
উল্লেখিত বিষয়ে ভুক্তভোগী খোদেজা বেগম’র ছেলে রুবেল জানান, আমি দুবাই প্রবাসী কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ছুটিতে আসার পরে মহামারী করোনার কারণে সময়মতো আমি আর দুবাই যেতে পারি নাই। আমি বাড়িতে থাকায় সেই সুবাদে বরমী এলাকার কিছু ছেলেদের সাথে আমার পরিচয় হয় পরে আমার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা করে দুই বার ধার নেয় অভিযুক্ত রাসেল, কিন্তু আমাকে একবারও টাকা ফেরত দেয় নাই পরে আমি জানতে পারি তারা অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক। তারপর থেকে আমি তাদের সাথে চলাফেরা বাদ দেই, চলাফেরা বাদ দেওয়া ও আমার টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আবারও এক লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে আমাকে মুঠোফোনে জানায় আমি টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করিলে আমার বাড়িতে যাইয়া আমাকে খোঁজাখুঁজি করিয়া না পাইয়া আমার শ্বশুরের দোকান ও আমার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে বাড়িতে হুমকি দিয়ে আসে আমাকে মেরে ফেলবে তাই আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি প্রশাসন ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শ্রীপুর থানার (এএসআই) নূর আলম জানান, রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বসতবাড়ি ভাংচুরের ছবি ও তথ্য নিয়ে এসেছি, অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। অপরদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।