বিরোধী নির্বাচন করায় জয়ী হওয়ার দুই দিনের মধ্যে ইউপি সদস্যের নির্দেশে মারধর করে তিনজনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কাওরাইদ বাজারের উত্তর-পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ৭ নম্বর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম (৪৫), কাওরাইদ গ্রামের ফালু মিয়ার সন্তান আলী হোসেন (৩০), মৃত জিন্নাত আলীর সন্তান আলম (৪২), ফালু মিয়া (৫৫) ও হারুন (২০)। এছাড়াও অচেনা ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, কাওরাইদ গ্রামের মৃত গেদু মিয়ার সন্তান মতি মিয়া (৬৫), মতি মিয়ার স্ত্রী জহুরা খাতুন (৫৫) ও মতি মিয়ার সন্তান রমজান আলী রুবেল (৩৫)।
আহত মতি মিয়া জানান, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় সে পাশ করার পর আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় নুরুল ইসলাম মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আমাকে আমার স্ত্রীকে এবং আমার সন্তানকে মারধর করে। আমার বুকে, মাথায় ও বাহুতে মারাত্মকভাবে লাঠি দিয়ে মারধর করে। আমি বিচার চাই।
আহত রমজান আলী রুবেল বলেন, আমার পিতা শ্রীপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ওই আমি ফিরাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। আমি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের রিপোর্টার। প্রায় একমাস আগে “ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীন এম্বুলেন্স ভাঙারীর দোকানে” শিরোনামে বাংলাদেশ সমাচারে একটি নিউজ করি। ওই ভাঙারীর দোকানের মালিক অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের। ওই নিউজ করার পর থেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে তার লোকজনের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, “আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আমি পরে গেছি। শুনেছি স্থানীয়ভাবে বসবে, যেহেতু অভিযোগ হয়েছে তদন্ত হোক, আমি অপরাধী আমার বিচার হবে”!
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অংকুর কুমার দাস বলেন, আমি আজ ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করছি। লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। রাতে ওসি স্যার যাকে দায়িত্ব দেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।