জুতা চুরিকে
Advertisements

মসজিদ থেকে জুতা চুরি যাওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল জুমার নামাযের পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হলে দুই পক্ষের লোকজন-ই শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যায়। প্রথমে চিকিৎসা নিতে যায় আদনানসহ তাদের আহত হওয়া পাঁচজন। পরে রাসেলসহ তার তিন ভাই ও পিতা জরুরি বিভাগের সামনে চিকিৎসার জন্য গেলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ চালায়। এতে হাসপাতালের দুইজন কর্মচারী আহত হন। দ্বিতীয় দফায় আহত হন পারভেজের দুই ভাইসহ তার পিতা।

দুই দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন করে দুই মোট ১০ জন আহত হয়। এতে গুরুতর আহত হয় একজন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মঈনুল আতিক জানিয়েছেন, উপজেলার সোনাকর গ্রামের দিপু আহমেদ, রবিউল ইসলাম, মোখলেস উদ্দিন ও ফারুক হোসেন জরুরি বিভাগের সামনে শুক্রবার [২৫ ডিসেম্বর ২০২০] বিকেল চারটা পনেরো মিনিটে একই গ্রামের আব্দুল ওহাব মাস্টার (৭৫), ওহাব মাস্টারের সন্তান পারভেজ (৪৫) রুবেল মাস্টার (৩০), রাসেল (৩৫) ও আজহারুল ইসলাম স্বপন (৫০)।

অনুসন্ধান ও কয়েকজন প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রাসেল মসজিদ থেকে নামাযের পর তার জুতা খুঁজে না পেয়ে সন্দেহবশত জুতা নিয়েছে কি না প্রশ্ন করেন দিপু, ওয়াদুদ ও আদনানকে। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে এসে আদনানদের উপর আক্রমণ করেন রাসেল। এ সময় আহত হন ফারুক, দীপু, ওয়াদুদ, ও শামীম। পরে আদনানের লোকজনও পাল্টা আক্রমণ করে তাদের। এতে ওই পক্ষের আব্দুল ওহাব মাস্টার, স্বপন, রুবেল ও রাসেল আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজহারুল ইসলাম স্বপন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকেও মাথায় স্বজোরে আঘাত করেন আদনানের লোকজন।

পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত হওয়ার পর আদনানের লোকজন প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে ওহাব মাস্টার ও তার সন্তানরা জরুরি বিভাগের সামনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসলে দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।

সেখানে নতুন করে আহত হন পারভেজ। এছাড়াও হামলাকারীদের মধ্যে আহত হন রোকেয়া খাতুন ও শম্পা আক্তার নামে দুই নারী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার আরও জানিয়েছেন, তারা আক্রমণ চালানোর সময় সরকারি মালামাল রক্ষার জন্য হাসপাতালের দুইজন কর্মচারী এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। এতে হাসপাতালের কিছু যন্ত্রপাতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। তারা হঠাৎ মারামারি শুরু করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য থানায় জানালে এসআই হামিদুল ইসলাম এসে প্রাথমিক তদন্ত করে গেছেন।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই হামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি ফোর্সসহ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে মারধর করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯টায় ওই মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মাস্টার বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি / মো. মোজাহিদ

Advertisements