গাজীপুর শ্রীপুরে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের চাউবন গ্রামের রাজেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের পুত্র বৃদ্ধ রজনী চন্দ্র বর্মণ (৬০) দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের নারীসহ ১১জন সদস্য নিয়ে সরকারী জমিতে তালপাতা ও বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি ঘরেই বসবাস করতেন। দিনমজুরী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের সংসার। সম্প্রতি এমন খবর পেয়ে স্থানীয় মহিলা এমপি অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি অসহায় ওই পরিবারটিকে একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেন।
শুক্রবার (২৫ জুন) সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতির মাধ্যমে ওই ঘরটি হতদরিদ্র পরিবারটিকে হস্তান্তর করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একটি তালপাতার তৈরি ঘরে রজনী চন্দ্র বর্মণ (৬০) তার দুই মেয়ে ও ৮ নাতি-নাতনীকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছিলেন। তার দুই মেয়েকে বিয়ে দিলেও কোন সংসারই টিকেনি। তাদের প্রত্যেকের সংসারে ৪ জন করে ৮ জন ছেলে মেয়ে রয়েছে। অসহায় হতদরিদ্র পরিবারটির খবর পেয়ে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি টিনের ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে দেন।
নতুন ঘর পেয়ে রজনী চন্দ্র জানান, জীবনেও ভাবিনি নতুন ঘরে থাকতে পারব। মেয়ে ও শিশু নাতি-নাতনীদেরকে নিয়ে এক ঘরে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছি।
সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে নবী মেম্বার জানান, তাদের মত দরিদ্র বর্তমান সমাজে নাই বললেই চলে। তাদের পূর্ব পুরুষরা জমিদার ছিল। সকল সম্পত্তি বিক্রি করে এখন নি:স্ব। বর্তমানে তারা জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে এবং মানুষের বাড়িতে মুজুরী করে সংসার চালায়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি জানান, রজনীকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। শুধু ঘর নির্মাণ করেই আমাদের দায়িত্ববোধ শেষ করতে পারি না। তার সংসার পরিচালনা করার মত একটি ব্যবস্থা করাও আমাদের কর্তব্য।