জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে মানুষ হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এসব পরিবার নিজেদের কষ্ট ও বিচারহীনতার অভিযোগ তুলে ধরেন।
শহীদ শাহরিয়ার আসাদ আলভির বাবা আবুল হাসান বলেন, “আমরা যারা আমাদের সন্তান হারিয়েছি, তারা জানি এই শোক কেমন। আমাদের এই কান্না কোনোদিন থামবে না। শহীদের রক্তে তৈরি সরকার গত পাঁচ মাসেও বিচার কার্যক্রম শুরু করেনি। আমরা বিচারের নামে প্রহসন চাই না। শেখ হাসিনার মন্ত্রীপরিষদ ও সমর্থিত বাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। আমরা দ্রুত বিচার চাই এবং শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এর কার্যকর বিচার দেখতে চাই।”
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহীদদের পরিবারের সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, তাদের প্রিয়জনদের মৃত্যুতে রাষ্ট্র কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জহুরা খাতুন তার ১৩ বছরের সন্তান যোবায়েদ হোসেন ইমনের হত্যার বিচার দাবি করেন। তিনি জানান, “গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আমার ছেলে নিহত হয়। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আমি তাকে আন্দোলনে যেতে মানা করেছিলাম, কিন্তু সে জোর করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার মাথার ডান পাশে গুলি করে, যা মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়। আমি এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ইমন হত্যাসহ গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত সবার বিচার চাই। যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”
বক্তারা একত্রে দাবি জানান, নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। তারা হুঁশিয়ারি দেন, বিচার না হলে জনগণ আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।