পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে লাহোর শহরে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি আয়োজিত এক বিশাল জনসমাবেশে এ মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসা এই সরকারকে কখনই বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না তার দল। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা ওয়াশিংটনের মেনে নিতে না পারার কথা উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যখনই আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়া সফরের ঘোষণা দিলাম তখনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেল।”
পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘দাম্ভিক ও কর্তৃত্বকামী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা ২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েছে এবং কিছু তাবেদার রাজনীতিককে দিয়ে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করেছে।
তার দল ও তার বিরুদ্ধে নয়া মার্কিন ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এখন ইমরান খান ও তার দল তেহরিকে ইনসাফকে পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পাঁয়তারা করছে।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাশিয়া সফরে গেলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়। তিনি যেদিন মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেদিনই ইউক্রেন অভিযান শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী; যা আমেরিকা ভালো চোখে দেখেনি। এরপর প্রায় দেড় মাসের টানাপড়েন শেষে গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের অনাস্থাভোটে ক্ষমতা হারান সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ ইমরান খান।