আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির
Advertisements

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে রবিবার (২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপসমূহঃ

বিশেষ অপারেশন: চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাদক ও চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি: পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গণমাধ্যম ব্রিফিং: পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার পর গণমাধ্যমে তথ্য প্রদান করছেন।

রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার: গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ বাহিনী টার্গেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টহল নিয়োজিত করা হয়েছে।

অপরাধ দমনে সমন্বিত অভিযান:ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ এলাকা মনিটরিং:রাজধানীর আশপাশের এলাকা, বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে টহল জোরদার করা হয়েছে। ডিএমপি, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে দ্রুত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।

গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলা: মিথ্যা তথ্য, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সত্য তথ্য প্রচারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিরীক্ষা ও পরিদর্শন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতের বিভিন্ন সময়ে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলা মনিটরিং:প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষভাবে জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের মামলাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নিয়মিত পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ: প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এসব উদ্যোগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

Advertisements