রহস্যজনক ভাবে শ্রীপুর থেকে কিশোরী গৃহবধূ নিখোঁজ
Advertisements

সব ধরনের নেশা করাই ছিল স্বামী সায়ীমের নিত্যনৈমিত্তিক কাণ্ড। কিন্তু বিয়ের পর কখনো বাড়ি থেকে এভাবে যায়নি কখনো। গৃহবধূ ফাহিমা খুবই সহজ সরল ছিলেন বলে জানায় স্থানীয়রা। হঠাৎ করেই ফাহিমা আক্তারের নিখোঁজের খবরে মর্মাহত অনেকেই। নিখোঁজের পর স্বামী সায়ীমের উধাও হওয়াকে রহস্যজনক বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন নিখোঁজ ফাহিমার মা। এর আগে গত শুক্রবার শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি (ফালু মার্কেট সংলগ্ন) গ্রামের নিখোঁজ ফাহিমার পিতা আবু হানিফ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী মোঃ সায়ীম (২০) এবং শাশুড়ি রেহেনা বেগম (৪০)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিন আগে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। মেয়ে নিখোঁজের পর থেকে মেয়ের স্বামী সায়ীম পলাতক রয়েছে। শাশুড়ি রেহেনা বেগমের কথাবার্তাও অসংলগ্ন। আরও জানা যায়, ছেলে নেশায় আসক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় ফাহিমাকে মারধর করতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে স্বামী স্ত্রী একসাথে ঘুমাতে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুজনেই নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার সময় ফাহিমার স্বামী তার বড় ভাইয়ের মোবাইল ফোন সাথে করে নিয়ে যায়। সেই নাম্বারে ফোন করলে ফাহিমার স্বামী জানায় ফাহিমাকে বাসায় রেখে সে রাত এগারোটায় বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে। সে এখন চট্টগ্রামে আছে। বিয়ের আগেও সে বিভিন্ন জায়গায় কাজের কথা বলে এরকমভাবে উধাও হতো বলে জানা যায়।

রাতে ঘুমাতে গিয়ে সকালে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ফাহিমার ঘটনা এলাকায় বেশ রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এলাকাবাসী এই ঘটনার দ্রুত সমাধান চান এবং ফাহিমাকে উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিখোঁজ কিশোরী গৃহবধূ ফাহিমার বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। নিখোঁজ ফাহিমাকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisements