Rabindranath
Advertisements

সাহিত্যের সাথে রাজনীতি বা রাজনীতির সাথে ধর্ম, মোটাদাগে এক বিষয়ের সাথে আরেক বিষয়কে না মেশানোর যে সবক বাংলার প্রগতিশীল সেক্যুলাররা আমাদের দেন অহরহ— প্রথমত তারা নিজেরাই সেইটা মানেন কখনো। তদুপরি কথা হইলো,এই যে ধর্ম-রাজনীতি-সাহিত্য-শিল্পকে একটা আরেকটা থেকে আলাদা করবার পাঠ ও প্রবণতা, সেইটা আদতে সেক্যুলার রাজনীতিরই বেদবাক্য। রাজনীতি না মেশানোর সবক অথবা ধর্ম টাইনা আনার বিরোধিতাও আদতে একটা রাজনৈতিক কাজ। এইটা মূলত বিভিন্ন আকাম-কুকামকে জায়েজ বানানোর একটা তরিকা।

এ দেশের রবীন্দ্র-পূজারীরা এই প্যারাডক্সিকাল কুকামগুলাই করেন। প্রথমত, তারা রবি ঠাকুরকে শুধু সাহিত্যিক হিসেবে চর্চা ও তাযীম করতে নারাজ। বরং তারা রাজনীতির সকল পর্যায়ে ঠাকুরের শুধুমাত্র হাজিরানা না, একচ্ছত্র হেজেমনি দেখতে চান। আবার অন্যদিকে যদি কেউ ঠাকুরের রাজনীতির ব্যবচ্ছেদ করতে চান, তার দিকে সাহিত্যে রাজনীতি না মেশানোর সবক নিয়ে তেড়েফুঁরে আসেন।

অথচ আপনি যে রবীন্দ্র দিবস উদযাপন করেন, এইটা একটা রাজনৈতিক ঘটনা। আপনি যখন ঠাকুরের মূর্তি বানান, সেইটা আপনার রাজনীতির দিকেই ইশারা করে। ঠাকুরের সংস্কৃতিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আপনার যে খায়েশ, সেইটা ভীষণভাবে রাজনৈতিক একটা কাজ। এমনকি তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়া সমালোচনা না করবার যে অরাজনৈতিক অবস্থান সেইটাও আদতে রাজনৈতিক অবস্থানই। কারণ কোন পলিটিক্যাল হেজেমনিতে অরাজনৈতিক থাকা মানে হেজেমনের রাজনৈতিক অবস্থানকে কবুল ও ন্যায্যতা দেওয়া।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনি যখন রবি বাবুকে কবি-সাহিত্যিকের বাইরেও দেশপ্রেমিক, স্বাধীনতাকামী বা অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ-পুরুষ হিসেবে হাজির করতে চান, সেইটা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ঘটনা-ই না; বরং সেইটা বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা এবং নিজ কওমের মানুষজনের সাথে গাদ্দারি। আপনার রাজনীতির প্রতি আমার কোন ই’রিতাজ নাই, আপনার রাজনীতি আপনি করবেন আলবৎ। তবে সততার সাথে করবেন এই দরখাস্ত। আর অন্যদের রাজনীতিরে ভিলিফাই করবেন না।

রবি বাবুর রাজনীতি নিয়ে এইখানে কিছুই বলবো না। বাঙলানামা’র তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত “উপনিবেশিত মনস্তত্ত্ব: আত্মঘৃণা, পশ্চিমাসক্তি ও ইসলামবিদ্বেষের সিলসিলা” নামক প্রবন্ধে এসব নিয়ে তথ্যসূত্র ধরে আলাপ করেছি। ঠাকুরের ইংরেজ-ভক্তি, পশ্চিমাসক্তি, এ অঞ্চলের মানুষেদের প্রতি ঘৃণা ও তার ইসলামবিদ্বেষের আলাপ সেখানে দেখানোর কোশেশ করেছি। সাহিত্যও যে প্রবলভাবে রাজনৈতিক হয়ে উঠতে পারে, তার কয়েকটি লেখার বরাতে এখানে কেবল সেই সূত্রটা ধরিয়ে দেয়ার কোশেশ করবো।

“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্র খন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজদের প্রতি । তাহাদের যথেষ্ট শাস্তিও হইয়াছিল। প্রবাদ আছে, ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়, কিন্তু মূঢ়গণ ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল। … এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না —একটা ছোটে বড়ো কান্ড হইয়া গেল অথচ এই মূক নির্বাক প্রজাসম্প্রদায়ের মনের কথা কিছুই বোঝা গেল না । … কেহ বলিল মুসলমানদের বস্তিগুলো একেবারে উড়াইয়া পুড়াইয়া দেওয়া যাক… ।”
[রাজা-প্রজা প্রবন্ধ] ১

“আমরা ভরসা করিয়া বলিতে পারি যে, মোগল রাজত্বের পূর্বে তিন শত বৎসর -ব্যাপী কালরাত্রে ভারত-সিংহাসনে দাসবংশ হইতে লোদীবংশ পর্যন্ত পাঠান রাজন্যবর্গের যে রক্তবর্ণ উল্কাবৃষ্টি হইয়াছে তাহা আদ্যোপান্ত কাহারই বা মনে থাকে এবং মনে রাখিয়াই বা ফল কী? অন্তত, এ ইতিহাসে তাহার একটা মোটামুটি বর্ণনা থাকিলেই ভালো হইত।”
[শ্রীহেমলতা দেবী প্রণীত “ভারতবর্ষের ইতিহাস” নামক কিতাবের গ্রন্থ সমালোচনা] ২

“মুসলমানেরা যুদ্ধ করিয়াছে, আর হিন্দুরা দলে দলে আত্মহত্যা করিয়াছে। মুসলমানদের যুদ্ধের মধ্যে এক দিকে ধর্মোৎসাহ, অপর দিকে রাজ্য অথবা অর্থ-লোভ ছিল। … পৃথিবীর জন্য এমন ভয়ংকর কাড়াকাড়ি, রক্তপাত, এত মহাপাতক একত্রে আর কোথাও দেখা যায় না। অথচ এই রক্তস্রোতের ভীষণ আবর্তের মধ্য হইতে মাঝে মাঝে দয়া দাক্ষিণ্য ধর্মপরতা রত্নরাজির ন্যায় উৎক্ষিপ্ত হইয়া উঠে।… মুসলমানদের ইতিহাসে দেখি উদ্দাম প্রবৃত্তির উত্তেজনার সম্মুখে ক্ষমতা লাভ স্বার্থসাধন সিংহাসন প্রাপ্তির নিকটে স্বাভাবিক স্নেহ দয়া ধর্ম সমস্তই তুচ্ছ হইয়া যায়; ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রী, প্রভু-ভৃত্যের মধ্যে বিদ্রোহ বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা, রক্তপাত এবং অকথ্য অনৈসর্গিক নির্মমতার প্রাদুর্ভাব হয়…।”
[ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্বের ইতিবৃত্ত নামক কিতাবের গ্রন্থ-সমালোচনা] ৩

“পৃথিবীতে দুটি ধর্মসম্প্রদায় আছে। অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্ৰ— সে হচ্ছে খৃস্টান আর মুসলমান-ধৰ্ম। তারা নিজের ধর্মকে পালন করেই সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে সংহার করতে উদ্যত! এইজন্যে তাদের ধর্ম গ্ৰহণ করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোনো উপায় নেই। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের সম্বন্ধে একটি সুবিধার কথা এই যে, তারা আধুনিক যুগের বাহন; তাদের মন মধ্যযুগের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়।”
[“হিন্দুমুসলমান”, কালান্তর] ৪

“একদিন চণ্ডীমণ্ডপে আমাদের আখড়া বসত, আলাপ জমত পড়াপড়শিদের জুটিয়ে, আলোচনার বিষয় ছিল গ্রামের সীমার মধ্যেই বদ্ধ। পরস্পরকে নিয়ে রাগদ্বেষে গল্পে-গুজবে তাসে-পাশায় এবং তার সঙ্গে ঘণ্টা-তিনচার পরিমাণে দিবানিদ্রা মিশিয়ে দিনটা যেত কেটে। তার বাইরে মাঝে মাঝে চিত্তানুশীলনার যে-আয়োজন হত সে ছিল যাত্রা সংকীর্তন কথকতা রামায়ণপাঠ পাঁচালি কবিগান নিয়ে। তার বিষয়বস্তু ছিল পুরাকাহিনীভাণ্ডারে চিরসঞ্চিত। যে-জগতের মধ্যে বাস সেটা সংকীর্ণ এবং অতি-পরিচিত।…বাইরে থেকে প্রথম বিরুদ্ধ আঘাত লাগল মুসলমানের। কিন্তু সে-মুসলমানও প্রাচীন প্রাচ্য, সেও আধুনিক নয়। সেও আপন অতীত শতাব্দীর মধ্যে বদ্ধ। বাহুবলে সে রাজ্যসংঘটন করেছে কিন্তু তার চিত্তের সৃষ্টিবৈচিত্র্য ছিল না। এইজন্যে সে যখন আমাদের দিগন্তের মধ্যে স্থায়ী বাসস্থান বাঁধলে, তখন তার সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ ঘটতে লাগল— কিন্তু সে সংঘর্ষ বাহ্য, এক চিরপ্রথার সঙ্গে আর-এক চিরপ্রথার, এক বাঁধা মতের সঙ্গে আর-এক বাঁধা মতের।

তা ছাড়া আরো একটা কথা আছে। বাহির থেকে মুসলমান হিন্দুস্থানে এসে স্থায়ী বাসা বেঁধেছে কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকে বাহিরের দিকে প্রসারিত করে নি। তারা ঘরে এসে ঘর দখল করে বসল, বদ্ধ করে দিলে বাহিরের দিকে দরজা। মাঝে মাঝে সেই দরজা-ভাঙাভাঙি চলেছিল কিন্তু এমন কিছু ঘটে নি যাতে বাহিরের বিশ্বে আমাদের পরিচয় বিস্তারিত হতে পারে। সেইজন্য পল্লীর চণ্ডীমণ্ডপেই রয়ে গেল আমাদের প্রধান আসর। তার পরে এল ইংরেজ কেবল মানুষরূপে নয়, নব্য য়ুরোপের চিত্তপ্রতীকরূপে। মানুষ জোড়ে স্থান, চিত্ত জোড়ে মনকে। আজ মুসলমানকে আমরা দেখি সংখ্যারূপে— তারা সম্প্রতি আমাদের রাষ্ট্রিক ব্যাপারে ঘটিয়াছে যোগ-বিয়োগের সমস্যা। অর্থাৎ এই সংখ্যা আমাদের পক্ষে গুণের অঙ্কফল না কষে ভাগেরই অঙ্কফল কষছে। দেশে এরা আছে অথচ রাষ্ট্রজাতিগত ঐক্যের হিসাবে এরা না থাকার চেয়েও দারুণতর, তাই ভারতবর্ষের লোকসংখ্যাতালিকাই তার অতিবহুলত্ব নিয়ে সব-চেয়ে শোকাবহ হয়ে উঠল।”
[“কালান্তর”, কালান্তর] ৫

“‘ম্লেচ্ছ সেনাপতি এক মহম্মদ ঘোরী/
তস্করের মত আসে আক্রমিতে দেশ!'”
[রুদ্রচন্দ্র নাটকে রুদ্রের সংলাপ] ৬

“শোন্ রে যবন! শোন্ রে তোরা/
যে জ্বালা হৃদয়ে জ্বালালি সবে,/
সাক্ষী রলেন দেবতা তার/
এর প্রতিফল ভুগিতে হবে!”
[যোতিন্দ্রনাথের সরোজিনী নাটকে কিশোর রবীন্দ্রনাথের রচিত গান] ৭

“‘আল্লা হো আকবর’ শব্দে রণভূমি প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। একদিকে তিনলক্ষ যবনসেনা, অন্যদিকে তিনসহস্র আর্যসৈন্য। বন্যার মধ্যে একাকী অশ্বত্থবৃক্ষের মতো হিন্দুবীরগণ সমস্ত রাত্রি এবং সমস্ত দিন যুদ্ধ করিয়া অটল দাঁড়াইয়া ছিল কিন্তু এইবার ভাঙিয়া পড়িবে, তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে। এবং সেইসঙ্গে ভারতের জয়ধ্বজা ভূমিসাৎ হইবে এবং আজিকার ঐ অস্তাচলবর্তী সহস্ররশ্মির সহিত হিন্দুস্থানের গৌরবসূর্য চিরদিনের মতো অস্তমিত হইবে।

হর হর বোম্‌ বোম্‌! পাঠক বলিতে পার, কে ঐ দৃপ্ত যুবা পঁয়ত্রিশজন মাত্র অনুচর লইয়া মুক্ত অসি হস্তে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর করনিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শত্রুসৈন্যের উপরে আসিয়া পতিত হইল? বলিতে পার, কাহার প্রতাপে এই অগণিত যবনসৈন্য প্রচণ্ড বাত্যাহত অরণ্যানীর ন্যায় বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল?— কাহার বজ্রমন্দ্রিত ‘হর হর বোম্‌ বোম্‌’ শব্দে তিনলক্ষ ম্লেচ্ছকণ্ঠের ‘আল্লা হো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হইয়া গেল? কাহার উদ্যত অসির সম্মুখে ব্যাঘ্র-আক্রান্ত মেষষুথের ন্যায় শত্রুসৈন্য মুহূর্তের মধ্যে ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়নপর হইল? বলিতে পার, সেদিনকার আর্যস্থানের সূর্যদেব সহস্ররক্তকরস্পর্শে কাহার রক্তাক্ত তরবারিকে আশীর্বাদ করিয়া অস্তাচলে বিশ্রাম করিতে গেলেন? বলিতে পার কি পাঠক।

ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুবনক্ষত্র।”
[“রীতিমত নভেল” গল্প] ৮

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার বড় কবি, সেইটা ঠিক আছে। তবে এসব কিছু ছাপায়া রবি ঠাকুর যে ভীষণভাবে “অরাজনৈতিক”, “অসাম্প্রদায়িক”, “স্বাধীনতাকামী” এবং এ অঞ্চলের মানুষের জন্য “আদর্শ পুরুষ” হিসেবে পূজনীয়— সেইটা জাতি হিসেবে বিশাল আজিব ঘটনাই। ঔপনিবেশিক শোষণ ও জ্ঞানতাত্ত্বিক সন্ত্রাসের যে সিলসিলা বঙ্কিম-ঠাকুর’দের বাঙালি রেনেসাঁ হয়ে হয়ে অদ্যাবধি অঞ্চলের মানুষদের হীনন্মন্য এবং নিজ তহযীব-তমুদ্দুন ও খোদ ইসলামের প্রতি বিমুখ বানিয়ে দিতেছে, এর দায় ঠাকুরকে সাহিত্যের বাইরে গিয়ে পূজা করা সেই বেনিয়ারাদের ঘাড়েই বর্তায়। সেইসাথে কিছুটা দায় পড়ে অরাজনৈতিক থাকতে চাওয়া মানুষদের উপরেও। এইটা নিয়াও বিস্তারিত আলাপ আছে বাঙলানামার লেখায়।

রবি বাবুর রাজনীতি যে আমাদের, বাংলার মুসলমানের রাজনীতি না, সেইটা তো নতুন করে বলার কিছু নাই। তবে তার সাহিত্যও যে বাংলার মুসলমানের প্রতিনিধিত্ব করেনা সেইটা আবুল মনসুর আহমদ অনেক আগেই বলে গেছিলেন। ৬ সেইটা যত বেশি ইয়াদ ও ফিকিরে রাখতে পারবেন, তত খাইর। আল মাহমুদের চারটা লাইন দিয়ে আলাপ শেষ করি:

“শুনুন রবীন্দ্রনাথ, আপনার সমস্ত কবিতা
আমি যদি পুঁতে রেখে দিনরাত পানি ঢালতে থাকি
নিশ্চিত বিশ্বাস এই, একটি উদ্ভিদ হবে না
আপনার বাংলাদেশ এরকম নিস্ফলা, ঠাকুর।”

রবিবাবুর সাহিত্যে বাঙালি মুসলমান যে একেবারেই আসেনাই কথাটা তা বোধহয় পুরোপুরি সত্য না। বিশেষ করে বর্গ হিসেবে মুসলমানের আলাপ বহুবারই আসছে ঠাকুরের লেখায়— তবে তা ইতর, ম্লেচ্ছ, বর্বর হিসেবে। তবে আবুল মনসুর অথবা আল মাহমুদগণ বোধহয় সেদিকেই ইশারা করতে চেয়েছেন।

হদিস:
১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “রাজা প্রজা”, রবীন্দ্র রচনাবলী ১০ম খন্ড (কলিকাতা, বিশ্বভারতী: ১৯৫০), ৪২৮-৯।
২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “ভারতবর্ষের ইতিহাস,” ইতিহাস (কলিকাতা: বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ১৩৬২), ১৫৬।
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্বের ইতিবৃত্ত,” ইতিহাস (কলিকাতা: বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ১৩৬২), ১৪৯-৫২।
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “হিন্দুমুসলমান,” রবীন্দ্র রচনাবলী, দ্বাদশ খণ্ড (কলিকাতা: বিশ্বভারতী, ১৪০২), ৬২০।
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “কালান্তর,” কালান্তর (কলিকাতা: বিশ্বভারতী, ১৪২৫), ১১-১৩।
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রুদ্রচন্দ্র (কলিকাতা: কালিকিঙ্কর চক্রবর্তী, ১২৮৮), ৩২।
৭। পুরুবিক্রম, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নাটক সমগ্র প্রথম খণ্ড (কলকাতা: সাহিত্য সংসদ ২০০২), ১৮।
৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “রীতিমত নভেল,” গল্পগুচ্ছ (কলিকাতা: বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ১৩৩৩), ১৬৮।

Advertisements