ঢাকার অদূরেই একটি বস্তির নাম ‘ময়লাতলি’ বস্তি। এখন সকলের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন এই বস্তির নাম ময়লাতলি রাখা হয়েছে?
বস্তিটির নামকরণ কে বা কারা করেছে, সে সম্পর্কে সকলেই অজ্ঞাত। তবে লোকমুখে শ্রুত যে, ওই বস্তির অধিকাংশ মানুষ ময়লা- আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করত বলে বস্তিটিকে ‘ময়লাতলি’ বলে অভিহিত করা হয়। যাই হোক, যাকে নিয়ে এই গল্পটি তার প্রসঙ্গে আসা যাক। ময়লা শরীফ! সেই নামেই অত্র এলাকায় ছেলেটিকে চেনে সকলে। প্রকৃতপক্ষে ওর পূর্ণ নামটি পর্যন্ত ও জানে না।
একহারা গড়ন, বয়স ১৯ কিংবা ২০ হবে, কোকড়ানো নোংরা চুল, অগোছালো খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সব মিলিয়ে ওর বৈশিষ্ট্য ওর নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মূলত শরীফ মধ্যরাতের পর থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। ওর পরিবার বলতে ৮ বছর বয়সী একটি ছোট বোন আছে ৷ ওর নাম মাইমুনা।
মাইমুনা শহরের উদ্যানে ফুল বিক্রি করে, যদিও তার চেষ্টা সবসময় সফল হয় না, কারণ সবাই তো আর ওর কাছে ফুল ক্রয় করে না।
মোটকথা, সকাল আর রাতেই ওদের পেটে দু’মুঠো অন্ন জোটে। শরীফ বস্তির ছেলে হলেও বস্তির অন্যসকল তরুণদের থেকে একটু আলাদা। বস্তির অন্যান্য ছেলেরা যেখানে স্বভাবগত বা পরিবেশগত যে কারণেই হোক না কেন, নেশার খপ্পড়ে পড়ে সেটাকে সঙ্গ দেয়, সেখানে শরীফ একটু ভাবুক প্রকৃতির, উদ্যমী ও শান্ত স্বভাবের। এক ভোরে ময়লা পরিষ্কার করার সময় রাস্তায় পড়ে ময়লা পত্রিকার ছেড়া টুকরোর দিকে নজর পড়ে তার। বার কয়েক পড়তে চেষ্টা করে, অবশেষে ব্যর্থ হয়। বিড়বিড় করে মুখ ভার করে বলে, ‘ আমি হইলাম গান্ডা মুরুক্ক। আমি কি পড়বার পাড়ুম?’ —-বলে সে মৃদু পায়ে রাস্তার ফুটপাতে উঠে আসে। ফুটপাতে স্থাপিত সোডিয়াম লাইটের খুটির সাথে হেলান দিয়ে পত্রিকায় ছাপানো চিত্রগুলো দেখেই সন্তুষ্ট থাকে। মিনিট দুয়েক পরেই আবার কাজে মনোনিবেশ করে শরীফ।
তখন প্রায় সকাল। রাস্তায় তেমন কোলাহল নেই। সিটি কর্পোরেশনের দুটো গাড়ি ময়লা তোলার কাজে ব্যস্ত। রাস্তার মোড়েই একটি রেস্তোরাঁ সবেমাত্র খুলেছে। রেস্তোরাঁ সম্মুখেই তিনটি কুকুর ‘ ঘেউ, ঘেউ ‘ শব্দে পায়চারী করছে। শরীফের কাজ তখন শেষ। মৃদু পায়ে রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে এগোতে থাকে শরীফ। রেস্তোরাঁর কাছাকাছি আসতেই কুকুরগুলোকে দেখতে পায় শরীফ। বার কয়েক শিস বাঁজিয়ে একটি কুকুরকে ডাকে শরীফ।
‘ ভুলু, এই ভুলু’—-বলতেই লেজ দুলিয়ে দ্রুত পায়ে কুকুরটি শরীফের কাছে আসে। হাটু গেড়ে বসে কুকুরটির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় শরীফ। কুকুরটি নিচুস্বরে শব্দ করে প্রভুর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে। শরীফ ভুলুর দিকে তাকিয়ে আদুরে গলায় বলে, ‘ ভুলু, তুই মনে হয় সারারাইত কিছুই খাছ নাই? খিদা লাগছে খুব তাই না? জানছ ভুলু, আমিও সারারাইত ধইরা খালি প্যাডেই আছি। আচ্ছা খাড়া, ওই হোডেল থাইকা আমার আর তর লাইগ্যা কিছু খাবার লইয়া আহি। তয় চাইয়া আনতে হইব। তাও আবার ঝুটা খাওন। ময়লার ট্যাকা পাইলে তুই আর আমি প্যাট পুইরা খামু। অহন থাক, আমি দেহি হোডেলে যাই।’—-বলে শরীফ দ্রুতপায়ে রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করে। কুকুরটি পেছন থেকে মায়াবী দৃষ্টিতে ওর প্রভুর চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে।
ছোট আয়তনের একটি রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীকে বাসন-কোসন মাঝতে দেখা যাচ্ছে। রেস্তোরাঁ মালিক কাউন্টারে বসে বসে ঝিমুচ্ছে। শরীফ মৃদু পায়ে হেটে রেস্তোরাঁ কর্মচারীর পেছনে গিয়ে দাড়ায়। কর্মচারী পেছন ফিরে তাকাতেই শরীফকে দেখতে পায়। শরীফের দিকে কটমটিয়ে তাকিয়ে সে বলে, ‘ কি রে ময়লা? তুই এই জায়গায় ক্যান? কি চাস?’
শরীফ মাথা নিচু করে বিনয়ের সুরে বলে, ‘ ভাই, সারারাইত কিছু খাই নাই। রাইতের ঝুটা খাবার হইলেও চলব। আমি আর ভুলু মিইল্যা খামু।’—-বলে রাস্তার মাঝে দাড়ানো কুকুরটিকে আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে শরীফ।
রেস্তোরাঁর কর্মচারী কর্কশ গলায় বলে ওঠে, ‘ ওই ছ্যাচড়ার বাচ্চা, নিজে একবেলা খাইতে পারস না আবার কুত্তারে খাওয়াবি, হুম!’
শরীফ মাথা নিচু করে থাকে। এদিকে রেস্তোরাঁ মালিক ওদের সব কথা কথা কান পেতে শুনছিল। চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে ঈশারায় শরীফকে ডাকে রেস্তোরাঁ মালিক। শরীফ মৃদু পায়ে রেস্তোরাঁর কাউন্টারের সম্মুখে এসে দাড়ায়। আশাভরা চোখ দুটো চকচক করছে। অকস্মাৎ শরীফের গালে কষিয়ে একটা চড় মারে রেস্তোরাঁ মালিক। শরীফ ব্যাথায় কুকড়ে ওঠে। দ্রুত পায়ে রেস্তোরার বাইরে চলে যায়। চোখ ছলছল হয়ে ওঠে শরীফের। ইতিমধ্যে কুকুরটি শরীফের পাশে এসে দাড়িয়েছে। শরীফ পেছন ফিরে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রেস্তোরাঁর দিকে। ঠিক সেই মুহূর্তে রেস্তোরাঁর কর্মচারী মাঝারি আকারের একটি সীসার পাতিল নিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে বেরিয়ে ফুটপাতে চলে আসে। নিচুস্বরে আদুরে গলায় কুকুরটিকে ডাকে। ওর ডাকে সাড়া দিয়ে কুকুরটি কাছাকাছি এগিয়ে। আর অমনি পাতিলের গরমপানিটুকু কুকুরটির গায়ে ঢেলে দেয় কর্মচারী। ‘ঘেৎ, ঘেৎ’ শব্দে চিৎকার দিয়ে কুকুরটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর কর্মচারী রাগত স্বরে শরীফের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ তুই এখান থাইকা যাবি? নাকি তোরেও দিমু ঢাইলা?’
শরীফ দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ করে বস্তির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়৷
একচালা টিনশেড ঘর শরীফের। ঘরের টিনগুলো মরিচাধরা। একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থা। শরীফ ওর ঘরের কাছাকাছি চলে আসতেই দেখে তিনজন তরুণ একটি বিশালাকৃতির গাছের গুড়ির ওপর বসে আছে। ওরা গাজা সেবন করছে। তিনজনই শরীফকে দেখে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসছে। তন্মধ্যেই ওদের একজন বলে ওঠে, ‘ কি রে ময়লা? শুকনা টানবি নাকি? মামা, সেই পিনিক! ল, একটা টান দিয়া যা।’
শরীফ গম্ভীর স্বরে বলে, ‘ না আমি টানমু না। তরা টান গিয়া।’—-শরীফ সামনে এগোবে এই মুহূর্তে ওদের আরেকজন বলে ওঠে, ‘ মামা, আইজকা রাইতে ফিটিং দিবার যামু লেকে। যাবি নাকি? একটা ফিটিং দিলেই ৫০০ ট্যাকা।’
‘আমি গ্যালাম।’—-বলে দ্রুত পায়ে প্রস্থান করে শরীফ।
ঘরের দরজার সম্মুখে এসে শরীফ দরজায় কড়া নাড়ে। ভেতর থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় বার কয়েক কড়া নাড়ে। কয়েক সেকেন্ড পর ঘুমাছন্ন চোখে দরজা খোলে মাইমুনা। শরীফ বিষণ্ণ ভঙ্গিতে ঘরে প্রবেশ করে।
‘ ভাই, তুমি না কইছিলা আমার লাইগ্যা চুড়ি আনবা। কই? আনলা না তো? পাশের ঘরের মকসেদারে ওর বাপে কত্তগুলান নাল রঙের চুড়ি কিইন্যা দিছে। চুড়িগুলান খুবই সুন্দর।’—চোখ কচলাতে কচলাতে অভিযোগের সুরে বলে মাইমুনা। শরীফ মাথা নিচু করে থাকে কিছুক্ষণ। অবশেষে মাইমুনার দিকে তাকিয়ে মলিন হাসি দিয়ে বলে, ‘ বুইন রে, এই মাসের ময়লার ট্যাকাডা পাইলে শাখাড়িবাজার থাইকা তর লাইগ্যা ম্যালা চুড়ি আর টিপ লইয়া আমু।’
মাইমুনা আবেগভরা দৃষ্টিতে শরীফের দিকে তাকায়। ভাইকে জড়িয়ে ধরে। শরীফ মাইমুনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। হতাশ ভঙ্গিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উপরের দিকে তাকিয়ে।
বিকেলবেলায় অবসর সময়ে শরীফ একটি টং দোকানে যায় প্রতিনিয়ত। কারণ সেখানে টেলিভিশন আছে। আর টং দোকানে বসে টেলিভিশন দেখা এক সময়ে ওর একটি মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়ে যায়। তেমনি এক বিকেলে টং দোকানে আসে শরীফ। দোকানের বেঞ্চির এক কোণায় বসে পড়ে। টেলিভিশনে তখন ক্রিকেট খেলা চলছিল।
শরীফ একদৃষ্টিতে মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখতে থাকে। এক পর্যায়ে খেলার উত্তেজনার মুহূর্তে বেঞ্চিতে বসে থাকা দর্শকেরা করতালিতে মেতে ওঠে। শরীফ উৎফুল্ল ভঙ্গিতে ওদের সাথে কড়তালি দেয়। দোকানদার এই ব্যাপারটি খেয়াল করে তাচ্ছিল্যের সুরে শরীফকে বলে, ‘ এই ব্যাডা, তুই কি খেলার কিছু বুঝস? হুদাই হাততালি দিতাছস? ব্যাডা মুরুক্ষ কোথাকার জানি।শরীফ কোন প্রতিবাদ করে না, নির্বাক থাকে।
মিনিটখানেক পর শরীফ সেখান থেকে চলে যায়।
মাঝে মাঝেই শরীফকে ময়লাতলি বস্তির মোড়ে প্রধান সড়কের ফুটপাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রাস্তায় স্কুল-কলেজ ব্যাগ ঘাড়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের যেতে দেখে সে, ভাবে সে যদি এমন হতে পারত। ওর অশ্রুসজল চোখগুলো অনেক স্বপ্ন আঁকে, যেতে চায় স্বপ্নের মহাসমুদ্রে।
একদিন বিকেল বেলায় বরাবরের মতই রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছেড়া কাগজের টুকরো কুড়িয়ে নিয়ে ফুটপাতের ঠিক মাঝখানে বসে পড়তে চেষ্টা করে শরীফ। ঠিক এই মুহূর্তে অদূর থেকে এক ভদ্রলোক আসছিলেন। পড়নে ছাই রঙা ব্লেজার, কালো প্যান্ট, পায়ে পালিশকরা জুতো, চোখে সানগ্লাস, সব মিলিয়ে এক ধরনের আভিজাত্যের ছোঁয়া লেগেছে তার বেশভূষা এবং অবয়বে। শরীফের খুব কাছাকাছি চলে আসলে তিনি দাড়িয়ে পড়েন। রাগত স্বরে শরীফের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ এই টোকাইয়ের বাচ্চা, রাস্তা কি তোর বাপের নাকি? এইভাবে রাস্তা আগলিয়ে বসে আছিস কেন?’
‘ ভুল হইয়া গ্যাছে স্যার।’—-বিনয়ের সুরে মাথা নিচু করে বলে শরীফ ফুটপাতের মাঝখান থেকে সরে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে শরীফের হাতে থাকা কাগজের টুকরোর দিকে নজর পড়ে ভদ্রলোকের। ভদ্রলোক শরীফকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ তোর হাতে ওটা কি রে?’
‘ ছেড়া কাগজ। এহানে কিছু লেহা আছে, পড়বার চ্যাষ্টা করতাছি।’—-মলিন হাসি হেসে শরীফ উত্তর দেয়।
ভদ্রলোক তাচ্ছিল্যভরা কন্ঠে বলেন, ‘ তুই হচ্ছিস রাস্তার টোকাই, তুই পড়াশোনা করে কি করবি? হুম?’
শরীফ প্রতিবাদী সুরে বলে ওঠে, ‘ আমি পড়বার চ্যাষ্টা করতাছি, তো আপনের কি হইছে? ধরেন লাভ নাই, কিন্তু আমার ইচ্ছা হইছে আমি পড়ুম।’
‘ কি! হারামজাদার বাচ্চা! কি বললি? মুখের ওপর কথা বলার সাহস তোর আসে কোত্থেকে?’—-বলে লোকটি ওকে বেদম প্রহার করেন এবং যাওয়ার সময় শরীফের গায়ে থুথু ফেলে যান। শরীফ ফুটপাত ঘেষা দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে অঝোরে কাঁদতে থাকে ও কান্নাজড়িত অবয়বে বারবার কাগজের টুকরোটির দিকে তাকায়। এইসময় এক যুবতী পাশ দিয়ে যেতেই শরীফকে কাঁদতে দেখে ওর দিকে এগিয়ে আসে। শরীফের কাছে দাড়িয়ে যুবতী বলে, ‘ কি ব্যাপার? কাঁদছ কেন?’
শরীফ কোন কথা বলে না। নিঃশব্দে কাঁদতে থাকে।
‘ এই ছেলে, তুমি কাঁদছ কেন?’—-যুবতী জোড়ালো গলায় শরীফকে প্রশ্ন করে।
শরীফ ওর হাতে থাকা কাগজের টুকরো যুবতীকে দেখিয়ে কান্নাজড়িত গলায় বলে, ‘ এই কাগজের লেহাগুলান আমি পড়বার চ্যাষ্টা করতাছিলাম। এক ব্যাডায় আমার এইডা লইয়া টিটকিরি মারে। আমি পাল্টা জবাব দিতে গেলেই আমারে ধইরা প্রচুর মারে আফা।’
‘ তোমার পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছে?’—-যুবতীর কন্ঠে সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ।
‘ আফা, আমি পড়বার চাই। অক্করজ্ঞিয়ান শিকার আমার খুব ইচ্ছা। তয় আমার মতন বস্তির টোকাইরে কেডায় শিকাইব? কেডায় আমারে অক্করজ্ঞিয়ান দিব?’—-বলে অসহায় দৃষ্টিতে যুবতীর দিকে তাকায় শরীফ।
‘ আমি তোমাকে অক্ষরজ্ঞান শেখাব। চল আমার সাথে।’—-যুবতী শরীফকে বলে।
শরীফ ইতস্তত ভঙ্গিতে যুবতীর দিকে তাকায়।
অতঃপর যুবতী মৃদু হেসে বলে, ‘ চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার ওপর নির্দ্বিধায় তুমি বিশ্বাস রাখতে পার।’
‘ জ্বে আফা।’—-মলিন হাসি দিয়ে উঠে দাড়িয়ে যুবতীকে অনুসরণ করে নিজের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যায় শরীফ।
সময়ের পরিক্রমায় তিনটি বছর কেটে গেছে। ময়লাতলি বস্তির প্রবেশমুখেই একটি দোকান গড়ে উঠেছে৷ দোকানে কাস্টমারদের প্রচন্ড ভীড় লক্ষণীয়৷ দোকানটির ওপরে একটি সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে। সাইনবোর্ডে লেখা ‘ ময়লাতলি টি স্টল’। দোকানটি শরীফের। ও এখন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন এবং সাবলম্বী।
মাইমুনা এখন ক্লাস টু তে পড়াশোনা করে। সময় পেলেই ওর চায়ের দোকানে ময়লাতলি বস্তির শিশু-কিশোরদের অক্ষরজ্ঞান শেখায় শরীফ।