খেলা মানেই জয়–পরাজয়। কিন্তু জেতার মতো শক্তি আছে কিনা ? বড় এই প্রশ্ন তো থেকেই যায়। বার্সেলোনা যে এখন অতীতের নামের ভারে চলছে, তা গত কয়েক মৌসুম ধরেই পরিষ্কার। কাল রাতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর বার্সার বাকি কঙ্কালটাও বের হয়ে এসেছে। এই ভঙ্গুর দলে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির থাকা উচিত কি না, কাল রাতের পর উঠে গিয়েছে সেই প্রশ্নটাও।
অনেকের মতেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার শোকে বার্সার মায়া ত্যাগ করতে পারেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। সমর্থকদের ভাবনা একপাশে সরিয়ে রাখুন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড প্রশ্ন তুলেছেন, মেসির কী এখনো বার্সেসেলোনায় থাকা উচিত কি না?বার্সেলোনা ছেড়ে আর্জেন্টাইন এই তারকার অন্য কোনো দলে যোগ দেওয়ার কথা ভাবা উচিত বলে মনে করেন সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার।
ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত। স্প্যানিশ ক্লাবটির ইচ্ছে মেসি তাঁর প্রিয় এই ক্লাব থেকেই অবসর নিক। কিন্তু বার্সেলোনায় আগের মতো আর সুখে নেই মেসি—এই কথাটা অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। ক্লাব সভাপতি বার্তামেউয়ের সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়ার কথাও প্রকাশ পেয়েছে অনেকবার। বাকি ছিল ট্রফিশূন্য একটি হতাশার মৌসুম কাটানো। লা লিগা, কোপা দেল রের পর চ্যাম্পিয়নস লিগেও বিধ্বস্ত হওয়ায় ব্যর্থতার ষোলোকলাই পূর্ণ হয়েছে। তাহলে তো এবার বার্সা ছাড়ার ব্যাপারে ভাবতেই পারেন মেসি।
সেই দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ফার্ডিনান্ড, ‘প্রশ্ন হচ্ছে মেসি কী ভাবছে? সে আজ রাতে বাসায় যাওয়ার পথে কী চিন্তা করবে? ক্লাবটি বর্তমানে যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, এবং ইউরোপের অন্যান্য দলের তুলনায় দলের খেলোয়াড়দের যে অবস্থা- এ নিয়েই এখন ভাবা উচিত তার। ওর পক্ষে কি সম্ভব সেখানে থেকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা? ফুটবল জীবনটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সে এখনো যেভাবে খেলাটায় প্রভাব ফেলতে পারে সেটা হয়তো আর দুই বছর পারবে। এখন সে কি বড় শিরোপা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে না? আমি জানি না।’
আবার মেসি যদি বার্সেলোনাতে থেকেই যান , তাহলে তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার মতো কোনো খেলোয়াড় কি বর্তমান বার্সেলোনা দলে আছেন ? জাভি হার্নানদেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা চলে যাওয়ার পর পূরণ হয়নি তাঁদের শূণ্যতা। মাঠের সেই অভাবটা ফুটে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আরেক সাবেক তারকা ওয়েন হারগ্রিভজের চোখে , ‘সুয়ারেজ ও মেসি হয়তো ভাবছে, “আমি ইনিয়েস্তা ও জাভির অভাব বোধ করছি। আমি পুয়োলের (কার্লোস) অভাব বোধ করছি।” কারণ দলে এখন এমন কেউ নেই।’