ভারত সরকারের দুর্ব্যবহার
Advertisements

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশাল মুসলিম জনতা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। মুসলমানদের সঙ্গে ভারত সরকারের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে দেশকে একটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুসলমানদের সঙ্গে পুনরায় দুর্ব্যবহার শুরু করেছে। তারা ইসলামি দাওয়াহ সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে এই অজুহাতে যে এই সংস্থা নাকি স্বাস্থ্য প্রোটোকল মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় ভারতের মুসলমানদেরকে তারা করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্যও অভিযুক্ত করেছে।

ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি হিন্দুত্ববাদের স্লোগান দিয়ে যথারীতি তাদের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মূলত তাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো ‘শিবসেনা’ এবং আরএসএস-এর মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর সন্তোষ অর্জন করা৷ এই গোষ্ঠিগুলো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘুদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। ভারতের বিরোধী দলগুলো মোদী এবং তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে যে এই দলটি ভারতীয় সমাজকে মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অভিন্ন পোশাক পরতে বাধ্য করার মতো সামাজিক সমস্যাগুলো উত্থাপ ন করছে।

ভারতের অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবী প্রফেসর ভিনা সীতাপতি পিভিডি পাতানি বলেছেন: মোদি সরকার এবং বিজেপির সাফল্যের অন্যতম হাতিয়ার হল সংখ্যালঘু ইস্যুতে হিন্দুদের ঐক্যের ব্যাপারে মনোনিবেশ করা। আরএসএস গোষ্ঠি বোঝানোর চেষ্টা করছে যে হিন্দুদের ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ না হওয়া। এই বিশ্বাস তাদের সাংগঠনিক নীতিমালার অংশ হয়ে উঠেছে।

মোদি সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতাসহ অভ্যন্তরীণ বিচিত্র সংকট ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সংখ্যালঘু ইস্যুকে কাজ লাগাচ্ছে। বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর নানারকম চাপ প্রয়োগ করে তাদের ব্যর্থতাগুলোকে এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মজার ব্যাপার উগ্র হিন্দুরা মোদি তথা বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা না করে তারা হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। আর বিজেপির মতো হিন্দুত্ববাদী নেতারা ওই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে।

মুসলমানরা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তারা তাই ভারতের সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মাজহাবের ঐক্যের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার পক্ষপাতী।

Advertisements