যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে এলেও তাদের ভিসানীতিসহ কোনো ইস্যুকেই আমরা কেয়ার করি না। তিনি কোনো মন্ত্রীও নন। তাকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? তাকে আমরা নিমন্ত্রণ করে আনছি না। তারা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে এ দেশে আসেন। সম্পর্ক থাকলে আসতে হয়।’
সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘ডোনাল্ড লুকে বিএনপি ওপরে ওপরে পাত্তা না দিলেও তলে তলে আবার কী করে কে জানে!’
বিএনপি তাদের সমমনাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে জোর দিয়েছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বয়কটে জোর আন্দোলন, এটা তাদের ব্যর্থ চেষ্টা। বিএনপির কোনো নেতাই ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে না। কিছুদিন আগে টেস্ট কেস দেখলাম। এটা কি সম্ভব! ভারতীয় মসলা ছাড়া কি চলে! শাড়িসহ আরো অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনতে হয়। আমার মনে হয় এটা বিএনপির উদ্ভট চিন্তা, ব্যর্থ চেষ্টা। আসলে সব হারিয়ে বিএনপি এখন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়। তাদের কোনো ইস্যু নেই। এখন ভারতীয় পণ্যকে ইস্যু করে নিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এটা নন ইস্যু।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। সম্প্রতি ঢাকায় তাদের দুটি সমাবেশও ফ্লপ হয়েছে। তাদের কর্মীরা হতাশ, নেতাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’
মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবসম্মত নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নজির নেই। প্রতিবেশী দেশে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নজির আছে। বাংলাদেশে এর যৌক্তিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’
ঢাকায় গণপরিবহনের লক্কড়ঝক্কড় বাস অপসারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘চলাচলে অযোগ্য লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলো ডাম্পিং করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে যেগুলো এক রকম চলে সেগুলো এখনই ডাম্পিং নয়। আমরা এখন ইলেকট্রিক বাসের কথা বিবেচনা করছি। ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আগ্রহ আছে সরকারের।’