রাজধানী ইসলামাবাদের এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে বলেন, “পরিস্থিতি নতুন স্নায়ু যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন জোট গড়ে উঠেছে। এই ধরনের জোট গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো উচিত কারণ আমাদের কোনো জোটের অংশ হওয়া ঠিক হবে।”
ইমরান খান বলেন, আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার শীতল যুদ্ধের কারণে বিশ্ব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে পাকিস্তান নতুন কোনো ফাঁদে পড়তে চায় না। তিনি বলেন, একই কারণে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যকার অচলাবস্থায় পাকিস্তান পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে। সে প্রচেষ্টায় দুই দেশই ইসলামাবাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
তবে কথিত এই গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমেরিকা তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ সরকার। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মাধ্যমে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল (বুধবার) মার্কিন আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে তবে এ ব্যাপারে কোনো কারণ উল্লেখ করে নি।
গত কয়েকদিন অভ্যন্তরীণভাবে শলাপরামর্শ করার পর পাকিস্তান সরকার এ সিদ্ধান্ত জানালো। পাক পররাষ্ট্র দপ্তর ওই বিবৃতিতে বলেছে, “গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের রয়েছি এবং আশা করি ভবিষ্যতে সুবিধামতো সময়ে এসমস্ত নিয়ে আলোচনা করা যাবে।”
৯ ও ১০ ডিসেম্বর কথিত গণতন্ত্র সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে বিশ্বের ১০০’র বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে পাকিস্তান, ভারত, মালদ্বীপ এবং নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মার্কিন প্রশাসন এই সম্মেলনে রাশিয়া এবং চীনকে আমন্ত্রণ জানায় নি। অন্যদিকে তাইওয়ানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে. সম্মেলনে যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দেশ কোনো রাজনৈতিক জোটের অংশ হতে ইচ্ছুক নয় বরং আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে চায়।