মানুষের নিকট আকর্ষণীয় করা হয়েছে, সুশোভিত করা হয়েছে সাতটি জিনিসকে। এগুলোর প্রতি মানুষের রয়েছে আবেগ মিশ্রিত ভালোবাসা। চলুন, জেনে নেই এ সাতটি বিষয় কি কি? মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
“মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহর কাছে।” [সূরা আলে ইমরান: ১৪]
আয়াতের মাধ্যমে আমরা জানলাম, নিম্নোক্ত সাতটি বিষয় মানুষের কাছে সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে-
১.নারী
২.সন্তান-সন্ততি
৩.পুঞ্জিভূত স্বর্ণ
৪.পুঞ্জিভূত রৌপ্য
৫.প্রশিক্ষিত সবল ও সুন্দর ঘোড়া। এগুলো দেখতেও যেমন সুন্দর ও সবল হবে, তেমনি দৌড়াতেও পারবে খুব ভাল।
৬.গবাদি পশু। সব ধরণের গবাদিপশু। ভেড়া, বকরি, উট ইত্যাদি,
৭.কৃষি জমি, শষ্যক্ষেত্র
মহান আল্লাহ বলেছেন, এই সাতটি বিষয় মানুষের কাছে সুশোভিত ও লোভনীয় করা হয়েছে। আয়াতটি খুবই শক্তিশালী। আল্লাহ কেবল এটা বলেন নি যে, এই জিনিসগুলো মানুষের কাছে সুশোভিত। বরঞ্চ মহান আল্লাহ বলেছেন, “সুশোভিত করা হয়েছে”। এগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে এই সাতটি বিষয় যেন তাদের তীব্র আকঙ্ক্ষার, ভালোবাসার, কামনার। অন্যভাষায়, তোমাকে এমন বিভ্রম করা হয়েছে, তোমাকে এমন অনুভব করানো হচ্ছে যার ফলে তুমি মনে করছ এ সাতটি বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষা পোষণ, এগুলো অর্জন করাই জীবনের সবকিছু। আসলে এমন নয়। মহান আল্লাহ জানাচ্ছেন,
“এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদ। এগুলো এ দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য।”
এরপর বলছেন,
“মহান আল্লাহর কাছেই রয়েছে উত্তম বাসস্থান”
.
এখন আয়াতের প্রথমাংশ বলছে, “মানুষের নিকট সুশোভিত করা হয়েছে”। কে সেই সত্ত্বা যিনি এসবকে সুশোভিত করেছেন? বাক্যটিতে কর্তা উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে, মানুষের নিকট সুশোভিত করা হয়েছে।
আমাদের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের কতিপয় বলেন,
“তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এসব জিনিসকে ভালবাসতে।”
এটা সত্য যে সকল সমাজে, সকল সভ্যতায়, সকল সময়ে প্রতিটি ব্যক্তিই এসব জিনিসের আকাঙ্ক্ষা রাখে। আমাদের সময়ে এসে এসব জিনিস খানিকটা বদলে গেছে। যেমন- ঋষ্টপুষ্ট ঘোড়ার স্থলে সেরা গতির গাড়ি, সেরা মডেলের গাড়ি। এটা বর্তমান যুগের সবল ঘোড়া। গবাদি পশুর স্থলে আমরা বিনিয়োগ এবং চাষাবাদযোগ্য জমির জায়গায় আমরা ভাড়া দেয়া যায় এমন সম্পদ ও জমির তুলনা করতে পারি। মূল বিষয় হল, এসবের প্রতি আমাদের হৃদয়েও একই রকম আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, যেমনটি পূর্ববর্তীদের ছিল। প্রশ্ন হল, কে আমাদের কাছে এসবকে সুশোভিত করেছেন? এক ধারার উলামায়ে কিরামের কথা আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন,
“মহান আল্লাহ মানুষকে স্বভাবতই এসব জিনিসের প্রতি ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা সমেত সৃষ্টি করেছেন।”
পুরুষের রয়েছে নারীর প্রতি আকাঙ্ক্ষা, নারীর রয়েছে পুরুষের প্রতি আকাঙ্ক্ষা। অর্থ সম্পদ, স্বর্ণ, রোপ্যসহ যাবতীয় সম্পদের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা স্বভাবগত, প্রাকৃতিক।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বলেন,
“আল্লাহ নন; বরং শয়তানই এগুলোকে মানুষের নিকট সুশোভিত করে উপস্থাপন করে।”
আর তৃতীয় আরেক দল বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের মত রয়েছে। ইন শা আল্লাহ, এটিই সর্বাধিক সঠিক মত-
“মহান আল্লাহ উল্লেখ করেন নি যে ‘কে’ এগুলোকে মানুষের কাছে সুশোভিত করেছে। কারণ, এসব বিষয়গুলোতে যেমন উত্তম, প্রাকৃতিক, বৈধ হওয়ার উপাদান আছে, তেমনি এসবে আছে শয়তানী ও নিকৃষ্ট উপাদান। হ্যা, এ সাতটি বিষয়ের আকাঙ্ক্ষাতে এ ধরণের দ্বৈত উপাদান রয়েছে।”
এজন্যই এসবের আকাঙ্ক্ষা করা হালাল হবে। বৈধ উপায়ে এসব অর্জন করা ভালো, কোনো সমস্যা নেই। এজন্যই আয়াতটি সরাসরি এসব বিষয়ের প্রতি আসক্তি ও ভালোবাসা থাকাকে সরাসরি সমালোচনা করে নি। লক্ষ্য করুন, আল্লাহ বলেন নি, এসব হারাম, এসবের প্রতি আকাঙ্ক্ষা রেখো না। বরঞ্চ আল্লাহ বলেছেন ,
“মনে রেখো, এগুলো দুনিয়ার জীবনের ক্ষণস্থায়ী উপভোগ সামগ্রী মাত্র।”
দ্বীন ইসলামের চমৎকার একটি দিক হল, মহান আল্লাহ কখনোই আমাদের উত্তম জীবন যাপন নিষিদ্ধ করেন নি। বলেন নি, সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করো না। তিনি আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের বৈধ উপায় রেখেছেন। আমাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপায় রয়েছে। যাইহোক, প্রতিটি আকাঙ্ক্ষা পূরণের হারাম পদ্ধতিও রয়েছে। আবার প্রতিটি আকাঙ্ক্ষা পূরণের বৈধ উপায়ও রয়েছে। আপনি যদি বৈধ উপায় অবলম্বনে সন্তুষ্ট হন, আলহামদুলিল্লাহ! আপনি উত্তম। কিন্তু যখন আপনি বৈধ পন্থার বাইরে যান তখনই গুনাহ সংঘটিত হয় ।
অতএব, আল্লাহর বাণী- “মানুষের প্রতি সুশভিত করা হয়েছে” -দ্বারা বুঝা যায় এসবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের এমন পদ্ধতি রয়েছে যা স্বাভাবিক ও বৈধ। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আমাদের যদি আকর্ষণ না থাকলে আমরা বিয়ে করব না। আমাদের সন্তানাদি জন্মগ্রহণ করবে না। অর্থ সম্পদের ভালোবাসা না থাকলে কঠিন পরিশ্রম করব না। ফলে এসবের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকা খুব স্বাভাবিক। এটা মহান আল্লাহ আমাদের ভিতর দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। অন্যথায় জীবন চলার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। আমাদের অর্থ-সম্পদের প্রয়োজন আছে, সন্তানাদির দরকার আছে। সন্তানের জনক-জননী হতে আমরা ভালোবাসি। মহান আল্লাহ এসব আকাঙ্ক্ষা আদের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন মানব জীবন চলমান রাখার জন্য। ফলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালোবাসা পোষণে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো বাধা নেই, যতক্ষণ না আপনি কেবল নিজ স্ত্রী/স্বামীকে ভালোবাসেন। এটা হালাল। কিন্তু যখন এ ভালোবাসা স্বামী-স্ত্রীর সীমানা ভেঙে বাইরে চলে যায় তখন আপনি হারাম সংঘটিত করেন।
.
নিজের সন্তানকে ভালোবাসবেন এতে ভুল কিছু নেই। আমরা জানি আমাদের নবিজি (সা.) হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর সাথে খেলা করতেন। তাদেরকে আদর করে কোলে নিতেন। চুমু খেতেন। একজন বেদুইন সাহাবী বললেন,
“আপনি শিশুদের চুমু দেন? আমি দেই না।”
নবিজি সা জবাবে বললেন,
“তুমি তোমার সন্তানকে চুমু দাও না এটা আমার দোষ না। আসলে মহান আল্লাহ তোমার হৃদয় থেকে মায়া মমতা উঠিয়ে নিয়েছেন।”
যাহপক, আয়াতে উল্লিখিত সাতটি বিষয়ের সবকটি অর্জন করা আমাদের জন্য হালাল। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত হালাল, যতক্ষণ আমরা এগুলো অর্জন ও ব্যবহারে হালাল উপায় ব্যবহার করব। এতে দোষের কিছু নেই। হারাম হবে তখনই, যখন এসব অর্জন ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে হারাম উপায় অবলম্বন করব। এজন্যই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরানে উল্লেখ করেছেন,
“আমি কি তোমাদের এসবের থেকে উত্তম কিছু বলে দিবো না?”
মনে রাখতে হবে, উল্লিখিত সাতটি বিষয়কে মজ্জাগতভাবে নিকৃষ্ট বলেন নি। মহান আল্লাহ বলেন নি, এই সাতটি হল খাবিস, আমি তোমাদের পবিত্র জিনিসের কথা বলতে যাচ্ছি। বলেন নি, এই সাতটিকে এড়িয়ে চলো। আপনি নারী, সন্তানাদি, অর্থ-সম্পদ ইত্যাদি ছাড়া বেচে থাকতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই এসবের প্রতি ভালোবাসা রাখতে হবে। এটার অনুমতি আছে। এগুলো মালিকানায় রাখুন। তবে সর্বদা মনে রাখবেন, আরো অধিক উঁচু লক্ষ্য রয়েছে। তা হল,
“আমি কি তোমাদের এসব থেকে উত্তম কিছুর কথা বলে দিবো না?”
সেগুলো কি? –
“যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য রয়েছে তলদেশে ঝরনা ধারা প্রবাহিত জান্নাত, রয়েছে পবিত্র স্ত্রীগণ।”
আর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম বিষয় হল,
“মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি”।
এটাই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সফলতা।
.
এগুলোই চিরন্তন। আমাদের আলোচনায় যে সাতটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছি জান্নাতে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কিছু থাকবে। তবে পার্থক্য হল, সেখানে আমরা যা পাব তা স্থায়ী। এখানে এগুলো ক্ষণস্থায়ী। জান্নাতে এ সাতটি বিষয়ের আকাঙ্ক্ষা ও অর্জনে কোনো নেতিবাচকতা নেই। আর এ দুনিয়ায় এ সাতটি বিষয়ের প্রতিটিই গোপন অভিশাপ হয়ে আসতে পারে। আপনি ভোগান্তি পোহাতে পারেন, যদিও আপনি এসব থেকে কিছু মাত্রায় উপকৃত হন।
.
দুনিয়ার সকল আনন্দ ফুর্তিতে নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। আপনার সন্তান হতে পারে গর্ব ও আনন্দের কারণ। আবার হতে পারে সে আপনাকে কষ্টের সম্মুখীন করবে। আমরা সবাই জানি, বৈবাহিক সম্পর্কের কতশত উত্থান পতন হয়। এটাই চরম বাস্তবতা। আপনি যা কিছু থেকে সন্তুষ্টি, আনন্দ, শান্তি পান তা আপনার জন্য কষ্ট ও দুর্ভোগেরও কারণ হতে পারে কখনো। অর্থ-কড়ি থাকলে সুখী ও সমৃদ্ধশালী অনুভব করেন, কিন্তু এই টাকার জন্যেই আপনি রাতে হত্যা বা মৃত্যুর শিকার হতে পারেন। এটাই দুনিয়ার বাস্তবতা। এসব কিছু ক্ষণস্থায়ী। মহান আল্লাহ এজন্যই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন,
“এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী উপভোগ সামগ্রী।”
আয়াতে ক্ষণস্থায়ী উপভোগ সামগ্রী বুঝাতে আএবি মাতা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর দুটি বৈশিষ্ট্য। এক. একটি- আপনি এটা উপভোগ করেন, পছন্দ করেন। দুই. এটা চিরস্থায়ী হবে না।
.
স্বভাবিকভাবেই এসব দুনিয়ার জীবনে এসব ক্ষণস্থায়ী উপভোগ সামগ্রী। আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম ও স্থায়ী উপভোগ সামগ্রীসমূহ। বলা হচ্ছে,
“আর মহান আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল।”
.
আলোচিত সাতটি বিষয়ের কথা পবিত্র কুরআনের আরো অনেক জায়গায় মহান আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। যেমন- মহান আল্লাহ বলেন,
“অর্থ-সম্পদ ও পরিবার দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য এনে দেয়।” [সূরা কাহাফ: ৪৬]
টাকা-পয়সা ও পরিবার দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য আনয়নকারী। ঠিক আছে, কিন্তু-
“উত্তম কাজগুলি চিরদিন থেকে যায়। এগুলোর বদৌলতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে সর্বোত্তম পুরস্কার।” [সূরা কাহাফ: ৪৬]
দুনিয়ার জীবনের সবকিছু ক্ষণস্থায়ী- সাতটি জিনিসের উল্লেখ করে আল্লাহ এটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, হারাম ঘোষণা করেন নি। অতএব, আলহামদুলিল্লাহ! যে সাতটি বিষয়ের আলোচনা এসেছে, সেগুলো আমাদের জন্য বৈধ। এগুলো কেবলই খারাপ ও শয়তানী বিষয় নয়। মহান আল্লাহ এসব আমাদের উপভোগ করতে বলেছেন। তবে শয়তান! সে এসে আমাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। এসব অর্জনে ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক পথে আমাদের ধাবিত করে।
.
আমাদের সবারই অর্থের প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত। আমাদের কাজ করতে হবে, সন্তানাদি ও পরিবারের দেখাশুনা করতে হবে। কারণ, আমরা তাদের ভালোবাসি। কিন্তু যখন এই ভালোবাসা আমাদের হারাম অর্থ উপার্জনের কারণ হয় বা হারাম পথে অর্থ ব্যয় করার কারণ হয়, তখন আমরা মহান আল্লাহর দেয়া সীমা লংঘন করে ফেলি। আমরা সবাই সন্তান-সন্ততি ভালোবাসি। কিন্তু এই ভালোবাসা হতে হবে শরীয়তের সীমানা মেনে। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা যখন আমাদের হারাম কাজের কারণ হয়, তখন এটা শয়তানী বিষয়।
.
আলহামদুলিল্লাহ! এসবের আকাঙ্ক্ষা মহান আল্লাহ দিয়েছেন। আমরা এগুলো হালাল উপায়ে পূরণ করতে পারি। তবে শয়তান এসে এগুলো অর্জন ও ব্যবহারের আসল পথ না দেখিয়ে বাকা পথ দেখায়। আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে। নিকৃষ্ট করে ফেলে। প্ররোচিত করে হারাম উপায়ে এগুলো অর্জন ও ব্যবহার করতে।ধালাল উপায় থাকা সত্ত্বেও এভাবে আমরা গুনাহে জড়িয়ে পড়ি।
আমরা যেন এভাবে হালাল ছেড়ে হারামে না জড়াই, সেজন্য আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, ভুলে যেও না। এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তা হল- মহান আল্লাহর নিকট চিরস্থায়ী উত্তম আশ্রয়স্থল।
.
আমরা মহান আল্লাহর কাছে আরজি পেশ করি, তিনি যেন আমাদের ধর্মনিষ্ঠ স্ত্রী, চোখ জুড়ানো সন্তান-সন্ততি, সুস্বাস্থ ও সম্পত্তি দান করেন। আমাদেরকে তাঁর প্রতিটি সুমিষ্ট নিয়ামত দান করেন। এসব নিয়ামত ব্যবহার করে যেন আমরা তার নৈকট্য অর্জন করতে পারি। আর এভাবে যাতে আমরা অর্জন করতে পারি আল্লাহ প্রদত্ত্ব চিরস্থায়ী উত্তম আশ্রয়স্থল।
মূল: ড. ইয়াসির ক্বাদি
অনুবাদ: মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ