গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক নয়ন বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা গীতা রাণী বর্মন। স্বামী জিতেন্দ্র বর্মন অনেক আগেই মারা গেছেন। অভাবের তাড়নায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক দিন থেকেই। নিজের কোন ঘর নাই, ঘর করার মতো জায়গাও নেই যে একটি ঘর করে থাকবেন।২ ছেলে মেয়ে নিয়েই চলছিল অভাবের সংসার। ছেলের বয়স ১৬/১৭ আর মেয়ের বয়স ১৪/১৫ হবে।
বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্তও দেখা যেতো রাত হলে ২টি সন্তান নিয়ে ঘুমাতো টোক ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় কিংবা টোক বাজারের কোন দোকানের সামনে বা নদীর পাড়ের ছাউনিতে। কিছু দিন আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার কমর থেকে পায়ের উপরের অংশের হাড় আলাদা হয়ে যায়। এতে করে তিনি এখন আর হাটাচলা করতে পারেন না।
গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি মানবতার ঘরের কর্ণধার মমতাজ উদ্দিন ভাওয়াল বার্তা প্রতিনিধির কাছে বিষয়টি বললে, প্রতিনিধি ইমরান সাথে সাথে গিয়ে বর্তমান অবস্থাটা দেখে আসেন। মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির পাশেই দুখ্যাইয়ারের অনেক দিনের পতিত ঘরের এক কোনে বিছানায় শয্যাসঙ্গী। ছোট্ট ঘরটিতে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষায় দিন গুনছে গীতা রানী। ছোট মেয়েটি দেখতে দেখতে বেশ বড় হয়ে গেছে। তারও বিয়ের কথা এক প্রকার পাকা। বিয়ের সম্ভাব্য তারিখও হয়ে গেছে।
কিন্তু মেয়ের বিয়ের জন্যও তো টাকার প্রয়োজন। মানবতার ঘর থেকে অনেক দিন ধরেই খাদ্য ও বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে আসছে। আপনাদের সহযোগিতার হাতই পারে মেয়ের বিয়ে ও তার চিকিৎসার অবলম্বন হতে। যদি কেউ নিজ চোখে বর্তমান অবস্থা দেখতে চান টোক নয়ন বাজারের লবুর বাড়িতে দেখে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। মানবতার ঘরের কর্ণধার মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের মাধ্যমেও সহায়তা করতে পারেন।