হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং তাঁর স্ত্রী আমিনা তৈয়বাকে সোনারগাঁও রিসোর্টে হেনস্তা করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাওলানা মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এর আগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাওলানা মামনুল হককে নানা রকম অপবাদ দিয়ে লাঞ্ছিত করে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি, পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রবীনসহ স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা মাওলানা মামনুল হককে অবরুদ্ধ করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর বন্ধ থাকায় তিনি রিসোর্টের ৫০১ নম্বর রুমে উঠেন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে। এ খবরে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী বিকেল সাড়ে ৫টায় স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম রয়েল রিসোর্ট থেকে তাদের উদ্ধার করে।
এসময় মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসি। সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে জাদুঘর বন্ধ থাকায় আমি বিকেল ৩টায় স্থানীয় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে অবস্থান নেই। পরে এলাকার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা আমাদেরকে হেনস্তা করে এবং একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি গত দুই বছর আগে। সে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমি আল্লাহর কসম করছি সে আমার স্ত্রী, তার প্রমাণ আমি দেখাবো। আমি কোনো অপরাধ করি নাই। কোনো দুর্বলতা আমার নাই।’
মাওলানা মামুনুল হকের ভাগ্নে জামিয়া রাহমানিয়ার শিক্ষক মাওলানা এহসানুল হক জানান, আমার মামা মাওলানা মামুনুল হক তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী; অর্থাৎ আমাদের ছোট মামীকে নিয়ে সোনারগাঁও এ বেড়াতে যান। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে এবং আমার মামা ও মামীকে হেনস্তা করে। তারা বিভিন্ন রকম অপবাদ দিচ্ছে মামা ও মামীকে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই অবগত। মামা দুই বছর আগে ছোট মামীকে বিয়ে করেছেন।