জাতীয় গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছেন,গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর মগবাজারের যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেটিতে গ্যাসের সংযোগ ছিল না। রোববার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিতাসের কর্মকর্তা মহিবুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহিবুল হক বলেন, আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আগেই ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। তিতাসের জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়নি। তবে সিলিন্ডারে জমা গ্যাসে বিস্ফোরণ হতে পারে।
এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছি। ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট, এসির বিস্ফোরণ কিংবা জেনারেটরের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে অন্য কোনো কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে কি–না সেটা তদন্তের পর জানা যাবে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের অপারেটর মো. ফরহাদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।