ভারতে মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং এনজিও নিষিদ্ধ নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ জাতিসংঘ
Advertisements

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মানবাধিকারকর্মীদের উপর অধিক চাপ সৃষ্টি হওয়াতে তাদের সুরক্ষায় ভারতকে আরও বেশি করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
মঙ্গলবার ইউএন হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস মিশেল ব্যাচলেট-এর কার্যালয় এক বিবৃতিতে তিনটি “সমস্যাপ্রবণ” ভারতীয় আইনের দিকে ইঙ্গিত করেছে যেগুলো মানবাধিকার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং বেসরকারী এনজিও সংস্থাগুলির কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

তার অফিস বিদেশী অর্থায়ন রেজিস্ট্রেশন আইন (এফসিআরএ) এর মাধ্যমে “জনগণের স্বার্থবিরোধী যে কোনও কর্মকাণ্ডের” জন্য বিদেশী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণ সহ নাগরিক সমাজে কণ্ঠস্বর রোধের জন্য “অস্পষ্ট শব্দযুক্ত আইন যা বিদেশী তহবিলকে বাধা দেয়” এরকম সব আইন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে।
চীলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যাচলেট আরও যোগ করেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মানবাধিকার নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছে, বিশেষত যারা বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে গণ-বিক্ষোভে জড়িত ছিল।

বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ও অনুরূপ আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী আইনের মাধ্যমে মুসলমান নয় এরকম বিদেশে-জন্ম হওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বল্প সময়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি সিএএ সম্পর্কিত গ্রেপ্তারগুলো “অবৈধ” এবং “রাষ্ট্রক্ষমতার মারাত্মক অপব্যবহার” হিসেবে আখ্যায়িত করে এগুলোকে নিন্দা জানিয়েছে।

“গঠনমূলক সমালোচনা গণতন্ত্রের ভিত্তিস্বরূপ। কর্তৃপক্ষ এটিতে অস্বস্তি বোধ করলেও এটিকে কখনও অপরাধমূলক বা বেআইনী করা উচিত নয়,” বাচলেট তার বিবৃতিতে আরও বলেন।
গত মাসে সরকারি প্রতিবন্ধকতার মুখে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতে তার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে দলটি জানায়।
তবে ভারত সরকার বাচলেটের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে “মানবাধিকারের অজুহাত” এ “আইন লঙ্ঘন” ক্ষমা করা যায় না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবা বলেছেন, “জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আরও জ্ঞাত দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করা হয়েছিল।”
সূত্র – আলজাজিরা

Advertisements