লুকাশেঙ্কো বলেছেন, যে সংবিধানের সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলির কাজ চলছে যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।
বেলারুশে নজিরবিহীন সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বেলারুশের সরকারি বার্তা সংস্থা বেলটা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে, “আমরা সংবিধান সংশোধন করবো, তারপর আমি সাংবিধানিক ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। রাস্তায় বিক্ষোভে বা চাপের মুখে ক্ষমতা ছাড়বো না।“
রয়টরস বার্তা সংস্থার এক রিপোর্ট বলছে, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন নতুন একটি সংবিধানের পর তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন কিন্তু চাপের মুখে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না।
মিনিস্ক থেকে আল জাজিরার স্টেপ ভেসেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লুকাশেঙ্কো বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তন করে সে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি , তবে এটা এক বছর লাগতে পারে ।
টুট. বাইয়ের প্রচার মাধ্যমে উদ্ধৃত করা হয়েছে , আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন করে ফেলেছি, আমাকে হত্যা না করা পর্যন্ত অন্য কোনো নির্বাচন হবে না ।
তবে, আরআইএ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে সংবিধান সংশোধনের পর নতুন একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।
৯ই অগাস্ট বিতর্কিত এক নির্বাচনের ফলাফলে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে আবারো বিজয়ী ঘোষণা করা হলে বেলারুশে ব্যাপক বিক্ষোভে এবং ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন। রোববার রাজধানী মিনস্কে বিরোধীদের ডাকা এক বিক্ষোভে এত মানুষ জড় হয় যা স্বাধীন বেলারুশের ইতিহাসে আগে কখনই দেখা যায়নি।
বেলারুশে রাষ্ট্রীয় টিভির কর্মীরাও কাজ ফেলে রাস্তায়
বেলারুশে রাষ্ট্রীয় টিভির কর্মীরাও কাজ ফেলে রাস্তায়
বেলারুশে বিতর্কিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পুন-নির্বাচনের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কর্মীরাও। তারা সেন্সরশিপ এবং নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিবাদ করছেন।
এর ফলে টিভিতে পুরনো সব অনুষ্ঠান পুন:প্রচার করা হচ্ছে।
সপ্তাহান্তে রাজধানী মিনস্কে বিরোধীদের ডাকা একটি বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেয়। এ সপ্তাহে আরো বিক্ষোভ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরাজিত বিরোধী প্রার্থী স্ভেতলেনা তিখানোভস্কিয়া বলেছেন তিনি অস্থায়ী একটি সরকারের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো রোববার এক সমাবেশ থেকে তার সমর্থকদের ‘দেশ ও স্বাধীনতা“ রক্ষার ডাক দিয়েছেন।