বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৮০ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি
Advertisements

ইতালি সরকার ৮০ হাজার শ্রমিক নেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ইতোমধ্যে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২ সালের জন্য এই স্পন্সর চালু করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। স্পন্সরের চূড়ান্ত অনুমোদন এখনো মন্ত্রিপরিষদের অপেক্ষায় রয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে বড়দিনের আগে ২০২২ এর স্পন্সরটি মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পেতে পারে। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পেলে নিয়মগুলো পরিষ্কার বোঝা যাবে এবং বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে কিনা সেটাও জানা যাবে। এর আগে এ রকম স্পন্সর চলমান ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার সরকার এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যেসব খাতে আশি হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে এর মধ্যে পর্যটন, কৃষি, ভারি পরিবহন এবং উৎপাদন। স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে এসব শ্রমিকরা বৈধভাবে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।

তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশের নাম চূড়ান্ত করা হলেও বাংলাদেশের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সেজন্য বাংলাদেশিদের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সম্প্রতিকালে ইতালির স্বরাষ্ট্র ও পরিবহন মন্ত্রীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে কথা হলে ইমিগ্রেশন পরামর্শক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিস বলেন, এ স্পন্সরটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর; কারণ দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর এ প্রক্রিয়াটি চালু করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। এ প্রক্রিয়াতে বাংলাদেশিরা সহজে বৈধভাবে ইত্যাদি প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। এর আগে ৩০ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ করে ইতালি সরকার।

এ ব্যাপারে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হক বলেন, ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্পন্সরে ৮০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে ইতালির সরকারের প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে। তবে গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নিয়মে বাংলাদেশি শ্রমিকরা আসতে পারবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এ বছর বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে এটি গত জুলাই মাসে একটি বৈঠকে স্পন্সরে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

তবে ২০১৭ ইউরোপ ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এসওপিও চুক্তি হয়। স্ট্যান্ডার অপারেটিং প্রসেডিওর ফর রিটার্ন অব ই-রেগুলার বাংলাদেশি ন্যাশনাল লিভিং ইন ইউরোপ নামে এ চুক্তির আওতায় যেসব বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইতালিতে বসবাস করছেন তাদের ব্যাপারে ইতালি সরকার অবৈধদের দেশে পাঠানোর জন্য যে অনুরোধলিপি দেবে এ ব্যাপারে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস কীভাবে সেটা দেখে তার ওপর নির্ভর করে আগামী স্পন্সরে বাংলাদেশিদের কোটা।

সূত্রঃ যুগান্তর

Advertisements