রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলোর সংস্থা ব্রিকসের পক্ষে প্রচার চালিয়ে বলেছেন, নতুন নতুন সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সংস্থার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে বার্ষিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে দেয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন।
প্রাথমিকভাবে রাশিয়া, ভারত, চীন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ব্রিকস গঠিত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী পশ্চিমা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব খর্ব করার ভূরাজনৈতিক সক্ষমতা সংস্থাটির রয়েছে বলে মনে করা হয়।
ব্রিকসের নতুন সদস্যদেশগুলোকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, এই অর্থনৈতিক সংস্থায় নতুন নতুন সদস্য গ্রহণ করার জন্য তিনি সম্ভাব্য সবকিছু করবেন। বিশ্বের বহু দেশ পশ্চিমা আধিপত্যবাদী নীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং তারা এর প্রতিকার চায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এসব লেনদেনে ডলার ও ইউরোর মতো পশ্চিমা মুদ্রার ব্যবহার অর্ধেকে নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি। সকল বাণিজ্যিক লেনদেন থেকে মার্কিন ডলার বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলতে থাকবে বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন ভ্লাদিমির পুতিন।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে গঠিত সংস্থা ব্রিকসে পরের বছর যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে সংস্থাটিতে মিশর, ইরান, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রুনাই, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামসহ বিশ্বের আরো অন্তত ৪৪টি দেশ ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছে।
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৩৫০ কোটি। এসব দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির পরিমাণ ২৮.৫ ট্রিলিয়ন যা বিশ্ব অর্থনীতির ২৮ শতাংশ।
রুশ প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরোধী দেশগুলোকে বাগে আনতে ডলারের মাধ্যমে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, বিকল্প মুদ্রার মাধ্যমে ডলারের এই একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব করা হবে।