Journalist Nurul Kabir
Advertisements

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এসবি এ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’–এর কারণে দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনা ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে তাঁদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া বা বিদেশভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশির ভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনো রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।

নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির গত ১৮ নভেম্বর কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরাম অংশ নেওয়ার জন্য যাওয়ার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন। যাওয়ার দিন তাকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। ২২ নভেম্বর ফেরার সময় আবারও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। গতকাল (শনিবার) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিমানবন্দরে বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না।

Advertisements