বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর দরগাহ গেইটস্থ একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রুপরেখা’ শীর্ষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে পেশাজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাজীবীদের মাধ্যমে রাজনীতিবীদদের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি হয়। বাংলাদেশের ৬৫ ভাগ ভোটার তরুণ। এ তরুণদের মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। দেশ আজ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে তা থেকে উত্তোলনের জন্যই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা হবে। তখন নতুন সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা অপরিহার্য। এই ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পরে বিএনপি কোনো নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে, এমন বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই ররূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাটি হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। জেলা বিএনপির সহ প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, সিলেট পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবি) শিক্ষক প্রফেসর ড. শাহ আতিকুল হক, প্রফেসর খালেকুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ।
আরা উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এটিএম ফয়েজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, জেলা বিএনপি নেতা হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, শাহ জামাল নুরুল হুদা, ফখরুল ইসলাম ফারুক, এ কে এম তারেক কালাম, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, সালেহা কবির শেপী, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আব্দুল হাফিজ, শাকিল মোর্শেদ, শরিফুল হক, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তোরন, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, সুলতানা রহমান দিনা, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খান ও শামসুর রহমান শামীম প্রমুখ।