বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা ওপেন মাঠে খেলতে পছন্দ করি না, ঘরোয়া খেলতে পছন্দ করি।’ তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া দল ৪২ বছর পরে মানসিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড, সাংগঠনিকভাবে নানা ধারায় বিভক্ত। বাইরে দল এক আছে, তবে ভেতরে কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। এ কারণেই গত ১২ বছরে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারেনি। আন্দোলন সফল করতে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে নিজ অফিসে ঢাকা জেলা কৃষক দলের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমউদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সহসভাপতি তমিজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে ঘরোয়া খেলা চলছে। এই ‘ঘরোয়া খেলা’বন্ধ না হলে সরকার হটানোর আন্দোলন কখনো সফলতার মুখ দেখবে না। ঘরোয়া খেলার বিষয়টিকে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ঘরোয়া খেলা মানে হচ্ছে, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে লাগা, একজন আরেকজনকে খাটো করা, একজন আরেকজনকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা করা।
তিনি বলেন, আমাদের কারও সঙ্গে কারও যদি দ্বিমত হয়, তাহলে আর কথাই নেই। তাঁকে আর অগ্রসর হতে দেয়া যাবে না। যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা যেত তাহলে আমরা ১২ বছর রাস্তায় থাকি না। এই ব্যর্থ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১২ বছর লাগার কথা না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সিংহভাগ লোক বিএনপিকে পছন্দ করে। যে দলের পক্ষে দেশের সিংহভাগ ভোটার রয়েছে, সেই দল পরনির্ভরশীল একটা সরকারকে কিছুই করতে পারছে না। বরং তারা (ক্ষমতাসীন) ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কথা বলে। এটা আমাদের সহ্য করতে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরেরে মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহ্বান জানান তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবার মনে রাখতে হবে একজন ব্যক্তি যদি ব্যর্থ হয়, পুরো দলটাই ব্যর্থ হয়। সেই কারণে কাউকে ব্যর্থ না করে যদি সবাই একজন আরেকজনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি, তাহলে আমরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারব।