আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘শোচনীয়’ হয়ে পড়ায় আমেরিকা ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের ‘অবিলম্বে’ দেশটি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। কাবুলস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার কারণে তাদের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। কাজেই কাবুলের বাইরে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সেবা প্রদান করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা করতেও মার্কিন দূতাবাস তার প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। কাবুলস্থ ব্রিটিশ দূতাবাস বলেছে, আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বিশেষ কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি; দেশে ফিরতে ইচ্ছুক নাগরিকদেরকে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো ব্যবহার করতে হবে।
হল্যান্ড সরকারও তার দেশের নাগরিকদের আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই প্রথম তাদের নাগরিকদের আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানায়নি। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে এর আগেও একাধিকবার এরকম আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ইরান সরকারও দেশটির নাগরিকদের আফগানিস্তানে অপ্রয়োজনীয় সফর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা তালেবানের দখলে চলে গেছে। বিভিন্ন প্রদেশে তালেবানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি অবশ্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
পার্সটুডে