'সর্বজনীন পেনশন' ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
Advertisements

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু একটি বিষয় সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে, যখনই বাঙালি কিছু পায় বা মর্যাদা অর্জন করে বা বাঙালি এগিয়ে যেতে থাকে উন্নয়নের দিকে, তখনই আবার অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র শুরু হয়। অর্জনটা তো তাদের কাছে বোধ হয় মনঃপূতই হয় না। কারণ পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতেই তারা পছন্দ করে।

গতকাল মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্ত থেকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা শ্রেণী আছে তারা কখনো আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে জানে না। তারা আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়েই আত্মতুষ্টি পায়। আর সেই শ্রেণীটা এখনো রয়ে গেছে আমাদের সমাজে। সেজন্য যতই আমরা উন্নতি করি, যতই এগিয়ে যাচ্ছি, সারা বিশ্ব যখন সেই উন্নয়ন দেখে, আমাদের দেশের কিছু লোক কিন্তু সবসময় চিরদিন অন্ধই থাকে। তারা আর তা দেখে না। এ অর্জনের কথা বলতে গেলেও যেন তাদের একটা দ্বিধা। কেন তাদের ভেতরে এ ধরনের মানসিকতা, সেটাই আমার কাছে অবাক লাগে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষায়-দীক্ষায়, সাংস্কৃতিক চর্চায় সবদিক থেকে বাঙালি নিজের মর্যাদা নিয়ে স্বমহিমায়, স্বগৌরবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, এটাই আমাদের কামনা। ভাষাশহীদের প্রতি, জাতির পিতার প্রতি এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

ভাষা আন্দোলনের চেতনা এবং বর্তমানে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে যেকোনো সংগ্রাম এবং রক্তদান কখনো বৃথা যায় না, বৃথা যেতে পারে না। যদি সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া যায়, যেকোনো অর্জন করা সম্ভব। আর সে অর্জনটা আমরা করতে পেরেছি।

পাকিস্তান গোয়েন্দা রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন এ রিপোর্টগুলো পেলাম, আমি আর বেবী মওদুদ এ তথ্যগুলো পেয়ে একটা বক্তৃতা দিলাম বাংলা একাডেমিতে। তো আমার সে ভাষণের পর বদরুদ্দীন উমর আমার বিরুদ্ধে একটা বিরাট আর্টিকেল লিখল, এ কথা নাকি আমি বানিয়ে বানিয়ে বলেছি। শেখ মুজিবের কোনো অবদান ভাষা আন্দোলনে নেই। কিন্তু ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের রিপোর্ট তো শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেই আছে। আর কারো বিরুদ্ধে তো এত নেই। তার বিরুদ্ধেই তো লিখেছে—তিনিই ছাত্রদের উসকানি দিচ্ছেন, তিনিই আন্দোলন করছেন, তিনিই সবখানে যাচ্ছেন, লিফলেট তৈরি করা, রেজল্যুশন তৈরি করে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকবার গ্রেফতার হয়েছেন, আবার মুক্তি পেয়েছেন।

সূত্রঃ বণিক বার্তা

Advertisements