বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
Advertisements

বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অবসরজনিত কারণে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তাকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তাতে বলা হয়, “সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক জনাব হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করিয়াছেন। উক্ত নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হইবে।”

বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেবেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে বিচারক রয়েছেন মো. ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নূরুজ্জামান ও ওবায়দুল হাসান। এদের মধ্যে ইমান আলী জ্যেষ্ঠতম। তবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা কোনো বিষয় নয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে সংবিধানে বলা আছে, সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিরবিচ্ছিন্ন এখতিয়ার। সেখানে কাকে তিনি প্রধান বিচারপতি বানাবেন সেটা তার প্রজ্ঞার বিষয়। সেজন্য এখানে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের বিষয়টা আসে না। লঙ্ঘনের বিষয়টা তখনই আসে যখন সেখানে একটা নিয়ম থাকে। এখানে কিন্তু এমন কোনো নিয়ম নেই যে যিনি জ্যেষ্ঠ তাকেই করতে হবে।”

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন।

১৯৮৩ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

২০০৯ সালে হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন।

সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থাকছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Advertisements