বড় সহিংসতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত
Advertisements

নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা মূল সংকট পেরিয়ে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক যে সংকট, তার ইতি কোথায় আমরা জানি না। আমাদের সবারই ধৈর্য ধারণ করা উচিত। দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত। এখন দেশের সকল সমস্যা নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের ভাবনা। শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি ও জামায়াত বড় ধরনের সহিংসতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় আপনারা কেন বলছেন! এখন যে আপাতত সহিংসতা বন্ধ আছে, এটা পার্মানেন্ট? এমন কথা এখনো বলা যায় না। এখন হয়ত তারা প্রস্তুত হচ্ছে বড় ধরনের সংহিসতার। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাইরে কথা বলছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার।

তিনি আরও বলেন, আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটা বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যের সমালোচনা করব না।

নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন কমিশন হিসেবে সংকটে একটা দায়িত্ব পালন করেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি (মঈন খান) বলেছেন, নির্বাচনকে বিশ্ববাসী সাজানো নাটক বলছে। কোন দেশ বলেছে? বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী দেশগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। খুব নিচু স্তরের সমালোচনা হচ্ছে, এগুলো নিয়ে মাথা ঘামালে আমরা সামনে এগোতে পারব না। সমানে আমাদের রমজান আসছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কাজ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে৷ এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক।

মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে একটা সর্বগ্রাসী সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। যুদ্ধ তো লেগেই আছে। আমাদের এখানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। অতীতে আমরা এত শীত দেখিনি। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

Advertisements