প্রেম নেই। শারীরিক সম্পর্কও নেই। শুধু থাকবে নির্ভেজাল বন্ধুত্ব। আবার চাইলে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করা যাবে। কৃত্রিম উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে পারবে। আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতোই সমস্ত অধিকার পাবে এই দম্পতির সন্তানও। এমন বিয়েতেই ঝুকছে জাপানি তরুণ-তরুণীরা। এই বিয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’।
দেশটিতে আইনিভাবে স্বীকৃত এই বিয়েতে এক ছাদের তলায় থাকেন দুজন। এই সম্পর্কে জড়িতরা প্রেমে না পড়ে বা যৌন সম্পর্ক না গড়ে প্লেটনিক অংশীদার হয়ে উঠছে। জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। তার মধ্যে শতকরা প্রায় এক ভাগ এমন সম্পর্ককে বেছে নিচ্ছে।
তবে দীর্ঘদিনের পরিচিতরা সাধারণত এইভাবে বিয়ে করছেন না। বিয়ের আগে কয়েকবার দেখা করেই বিয়ে করে ফেলছেন জাপানি তরুণ-তরুণীরা। সারাদিন কী খাওয়া হবে, কবে কাপড় কাচা হবে, ফ্রিজের কোথায় কী খাবার রাখা হবে, মাসের খরচ কীভাবে সামলানো হবে- এইসব আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে এই বৈবাহিক সম্পর্ক। সারাদিন পরে মন খুলে আড্ডা হবে, শুধু এই একটা কারণেই টিকে থাকছে বিয়ের সম্পর্ক।
জাপানের একটি সংবাদপত্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ৫০০টি দম্পতি এইভাবে বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ বিয়ে টিকে রয়েছে। ২০ শতাংশ ভেঙে গেছে। অনেক দম্পতির সন্তানও রয়েছে। গড়ে ৩২ বছর বয়সিরা এই ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজের দিকে ঝুঁকছেন।