ওসিসহ ১১ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
Advertisements

ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ অভিযানে পুলিশের একজন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং তিনজন পুলিশ সুপারকে (এসপি) আটক করেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম: গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুন, গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশ অ্যাকাডেমির সহায়তায় তাকে রাজশাহী সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান: নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। তিনি পূর্বে নোয়াখালী জেলার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হন। তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান: রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত ছিলেন। পূর্বে কুমিল্লা ও সিলেটে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়ম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত: রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত ছিলেন এবং পূর্বে বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ও পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর ভূমিকা রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

পুলিশের উচ্চপর্যায়ের এই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, খুন-গুম, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলপ্রয়োগ এবং সাজানো জঙ্গি নাটকের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এই চার কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। আটক কর্মকর্তাদের বর্তমানে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে। আরও তথ্য প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

Advertisements