পালিয়ে বিয়ের ২৫ দিন পর লাশ হলো টঙ্গীর সুমাইয়া
Advertisements

গাজীপুর টঙ্গীতে পালিয়ে বিয়ে করার ২৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন ষষ্ঠ শ্রেনীর স্কুলশিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (১৩)। পুলিশ টঙ্গীর গুশুলিয়া হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে সুমাইয়ার স্বামী ওয়াকর্কশপ শ্রমিক ইয়াসিন আরাফাত (১৭)-কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন আরাফাত ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা উপজেলার বল্লবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

সুমাইয়ার বাবা লাল মিয়া জানান, টঙ্গীর একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তো তার ছোট মেয়ে সুমাইয়া। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পাশের একটি ওয়ার্কশপের কর্মচারী ইয়াসিন সুমাইয়াকে উত্ত্যক্ত করতো। এরপর ইয়াসিন ২৫ দিন আগে সুমাইয়াকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে উধাও হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইয়াসিন ফোনে জানায়, সুমাইয়াকে টঙ্গীর গুশুলিয়া হাসপাতালে আনা হয়েছে, তার অবস্থা ভালো নয়। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ফোন পেয়ে তিনি সুমাইয়ার লাশ দেখতে যান।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিশন পুলিশ- জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই উত্তম কুমার সূত্রধর জানান, নিহত সুমাইয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গুশুলিয়া হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত ১ এপ্রিল টঙ্গী পশ্চিম থানার মুদাফার সালাউদ্দিনের টিনশেড বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ইয়াসিন ও সুমাইয়া। ইয়াসিন মুদাফার ফয়সল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কাজ নেয়। ওই ওয়ার্কশপের মালিকই তাদেরকে বাসা ভাড়া নিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার বাবা লাল মিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়ার মৃত্যুর সুস্পষ্ট কোনো কারণ স্বীকার করছে না ইয়াসিন। আমরা চেষ্টা করছি আসল রহস্য উদ্ধারে। নিহতের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারায়নদহ গ্রামে। গাজীপুর মহানগরের ডেগের চালা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতো সে।

Advertisements