পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি
Advertisements

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কারণ যে সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল তা দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারা বলছেন, সফটওয়্যার দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মতো বড় পরীক্ষা নেওয়ার মতো এখনো দেশে সক্ষমতা হয়নি।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় বিশেষজ্ঞরা উল্লেখিত মতামত ব্যক্ত করেন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সফটওয়্যারের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সফটওয়্যারটি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা জানান, সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার মতো সক্ষমতা দেশে এখনও তৈরি হয়নি। এই সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে গেলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। নেটওয়ার্ক এবং টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন সঠিক নাও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছোট্ট পরিসরে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়নে এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সফটওয়্যারের অধিকতর উন্নয়ন প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের কোনো দেশে একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে বড় পরিসরে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় না। সফটওয়্যার দিয়ে যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হয় সেক্ষেত্রে ইউজিসিকে সবার আগে একটি নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে।

সভায় মুনাজ আহমেদ নূরও স্বীকার করেন, তার সফটওয়্যারটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য উপযোগী নয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভিসি যুগান্তরকে জানান, বৈঠকে যে সফটওয়্যার প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি নতুন নয়। চীনে এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে বর্তমানে পরীক্ষা নেয়ার কাজ চলছে।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা আকবরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisements