পাটশাক দুই পদের হয়। মিষ্টি ও তিতা। মজার বিষয় হলো, পাটশাকও যে মিষ্টি লাগে তা অনেকে জানে না। না জানার ফলে তিতা মনে করে। অনেকে মুখে নিতেই ভয় পায়। পাটশাকে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। পাটশাক বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যায়। সেদ্ধ বা ভাজি তো হয়ই। সবচেয়ে মজার হয় পাটপাতার ঝুরি ভাজি দিয়ে ভর্তা করলে। পাটশাক খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাতে অবশ্য তেমন নিরাশ হবার কারণ নেই। শুকিয়ে পাটশাক মজুত রাখার একটা অন্যরকম উপায় আছে। শুকিয়ে রাখা পাতা ঝুরঝুরি করে সারাবছর রেখে খাওয়া যেতে পারে। গরম ভাতের সাথে পাটশাকের ঝুরি ভর্তা মানেই আলাদা মজা। এর টেস্ট জিহবায় লেগে থাকে। সাথে একটু ডাল থাকলে তো কথায় নেই। তাছাড়া এটা একটি স্বাস্থ্যকর খাবারও। তবে পাটশাক দুপুরে খাওয়াই উত্তম।
পাটশাকের ঔষধি গুণ
প্রতি একশগ্রাম পাট পাতায় প্রায় একশ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এছাড়াও এর নানাবিধ ঔষধি গুণ রয়েছে। পাট পাতার ভিটামিন এ, বি, সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। এছাড়া এতে রয়েছে শর্করা, বিটা ক্যারোটিন ও মিনারেল।
পাটে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট আপনাকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে পারে। দেশীয় অন্যান্য শাকের তুলনায় পাটশাকে ক্যারোটিনের পরিমাণও থাকে অনেক বেশি। এছাড়া পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যালকালয়েড, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, লিপিড, কার্বহাইড্রেট এবং ফলিক অ্যাসিড আছে। হাড্ডি গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে পাটশাক। হার্টের রক্ত চলাচলও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও নানাবিধ উপকার তো রয়েছেই। তবে কোথাও পাটশাকের কোন ক্ষতিকর দিক খুঁজে পাওয়া যায়নি।