পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ও এর লক্ষণ
Advertisements

পি সি ও এস হলো পলি সিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, যা কিনা একটি এন্ডোক্রিন সিস্টেম ডিসঅর্ডার। এই অবস্থায় ওভারিতে প্রচুর এন্ডোজেন তৈরি হয় যা ডিম্বাণু তৈরি ও নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে। এই ডিম্বাণুগুলির কয়েকটা তরল পূর্ণ সিস্টে পরিণত হয়ে ওভারিতে জমা হয় ও একে ফুলিয়ে দেয়, একাধিক সিস্টকে একসঙ্গে বলা হয় পলিসিসিস্ট। এই সিস্টগুলো ওভারির অরগ্যানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্ষতা কমিয়ে দেয়।

অনিয়মিত পিরিয়ড-

অনিয়মিত ঋতুচক্র পলিসিস্টিক ওভারির বড় একটি লক্ষণ। হরমোনের তারতম্যের ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড হয়। তারতম্য বেশি হলে বছরে দুই-তিনবার বা তারও কম পিরিয়ড হয়। বিবাহিতাদের সন্তান ধারণে সমস্যা হয় অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য। এটি আপনার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতাতেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।

অত্যধিক রক্তপাত-

যখন আপনার জরায়ুর আস্তরণ সময়ের সাথে তৈরি হয়, আপনি খুব ভারী রক্তপাতের সাথে পিরিয়ড অনুভব করতে পারেন। পিসিওএস-এ আক্রান্ত অনেকেরই পরপর একাধিকবার পিরিয়ড মিস হয়। ফলে তাদের পিরিয়ড যখন হয়, তখন রক্তপাত স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয়।

স্থূলতা

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আছে তাদের ওজন বেশি বা স্থূল।

ব্রণ-

যদি আপনার পুরুষ হরমোনের স্বাভাবিক উৎপাদনের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে উঠতে পারে, যার ফলে আপনার মুখ, পিঠ এবং বুকে ব্রেকআউট হতে পারে।

অবাঞ্ছিত চুল বৃদ্ধি-

লোমের আধিক্য: পিসিওএস-এ নারীর শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার থেকে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই হরমোনের জন্যই মুখ, পেট ও বুকের বিভিন্ন অংশে লোমের বৃদ্ধি হতে থাকে।

মাথাব্যথা-

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।

টাক-

আপনার শরীরের পুরুষ হরমোনগুলি আপনাকে পুরুষ-প্যাটার্ন টাক অনুভব করতে পারে, যার ফলে আপনার মাথার ত্বকের কিছু অংশের চুল পাতলা হয়ে পড়ে এবং পড়ে যায়।

ত্বকের বিবর্ণতা-

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর কারণে আপনার ত্বকে আপনার ঘাড়, কুঁচকি বা আপনার স্তনের নিচে কালো দাগ তৈরি হতে পারে।

Advertisements