- পনেরো বছরের সংসার ফেলে শ্রীপুরের বিবাহিত যুবকের সাথে উধাও গৃহবধূ - সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ
Advertisements

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বহেরার চালা গ্রামের ফাইজুদ্দিনের সন্তান আরিফ হোসেনের (২৬) দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে পালিয়েছে।

আরিফ পেশায় একজন ডিশ ব্যবসায়ি। তিন বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা উপজেলার মান্দালিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের সন্তান কলি আক্তারকে বিয়ে করেন। কলি আক্তার শ্রীপুর উপজেলার ভিনটেক্স কারখানায় চাকুরি করতেন। কলি বর্তমানে ৯ মাসের গর্ভবতী। সন্তান সম্ভবা এই স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন আরিফ।

আরিফ লম্পট প্রকৃতির হওয়ায় [একা একা বিয়ে করায়] তার বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়।

আরিফের চাচা নুরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আশরাফুল ইসলাম ও আমিনা বেগম। আমিনা বেগমের সাথেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আরিফ। সেই সম্পর্ক এক পর্যায়ে পরকিয়ায় রুপ নেয়। আশরাফুলের চাকুরির সুবাদে প্রতিদিনই ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে কথা বলতো আমেনা ও আরিফ। পরবর্তীতে গত [১৯ আগস্ট ২০২০] আমিনা বেগম আরিফের সাথে পালিয়ে যায়। এরপর আমেনা বেগম ১৮ দিন পর স্বামী আশরাফুলের কাছে ফিরে এসে ক্ষমা চাইলে সন্তানের কথা চিন্তা করে তাকে ক্ষমা করে দেয়। পূনরায় [১৯ নভেম্বর ২০২০] আরিফের সাথে পালিয়ে যায় দুই সন্তানের জননী আমিনা বেগম।

আশরাফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নওডাঙা গ্রামের মীর হোসেনের সন্তান। ২০০৬ সালে একই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর সন্তান আমিনা বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে সে। তাদের দুইজন সন্তান রয়েছে। একজন মেয়ে (৯) ও ছেলে (৬) রয়েছে। এই দুইজন সন্তান রেখেই পরকিয়ার টানে বারবার চলে যাচ্ছে আমিনা বেগম।

এ ব্যাপারে আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমার ছোট সন্তান কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। এখন আর শব্দ করে কাঁদতেও পারছে না। আমার সন্তানদের বাঁচাতে আমিনাকে আমি আবারও গ্রহণ করতে রাজি আছি।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কলি আক্তার জানিয়েছেন, আমি খুব সমস্যায় আছি। আমার শ্বশুরবাড়িতে গেলেও আমাকে মারধর করছে, আমি ৯ মাসের গর্ভবতী। ডাক্তার বলছে চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমার ডেলিভারি হবে। বর্তমানে আমার হাতে কোনও টাকা নেই, আমার খাবারের টাকাও নেই। খুব দুঃশ্চিতায় আছি। আমি আমার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত চাই, আমার লম্পট স্বামীর বিচার চাই। সে (আরিফ) আরেকজনের ১৫ বছরের সংসার ধ্বংস করে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। তার বিচার হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে আরিফ হোসেনের মা জানিয়েছেন, আরিফ বাড়িতে না জানিয়ে কলিকে বিয়ে করে। তাকে আমরা মাঝেমধ্যে খাবার বাবদ চাল দিতাম, আরিফও ভরনপোষণ করতো, কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে আরিফ বাড়িতে আসে না। কোথায় আছে তাও জানি না। সে বাড়িতেও কোনও খরচ দেয় না।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কলি আক্তার গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, এসপি অফিস থেকে আমাকে বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে।

আমি আরিফের বাসায় গিয়ে তার পিতামাতাকে বাড়িতে পাইনি। পরে আশেপাশের লোকজন জড়ো করে বলে আসছি, আরিফ ২য় বার বিয়ে করেছে সমস্যা নেই, কিন্তু ১ম স্ত্রী’র ভরনপোষণ দিতে হবে। বুধবার [৮ ডিসেম্বর ২০২০] দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদেরকে সময় দিয়ে আসছি, এই সময়ের মধ্যে সমাধান না করলে তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে আসবো বলে আসছি। মোটকথা আমরা চাই, সংসারটা টিকুক।

স্মরণীয়: এই সংবাদ প্রকাশের পূর্ব মুহুর্তে, প্রতিবেদকের সংবাদের তৎপরতার খবর পেয়ে আরিফের মা পুত্রবধূ কলি আক্তারকে বাড়িতে নিয়েছে, কিন্তু আরিফ ও গৃহবধূ আমিনা বেগমের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।

Advertisements