তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ গ্রুপ গঠন করার প্রস্তাব পুতিনের
Advertisements

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা যদি তার দেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এড়াতে মস্কো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে প্রস্তুত। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গে এক ফোনালাপে এ কথা বলেন তিনি।

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আজভ ও কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আলাপে পুতিন আজভ ও কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা বলেন।

যেকোনো যুদ্ধে যুদ্ধরত অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম ও ভোজ্যতেলের উপাদান রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার কারণে এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করেছে।

বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ গমের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল এবং এই খাদ্যশষ্যটি বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ ক্যালরি ও প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। গমের অপ্রতুলতা ও এই শষ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী সব ধরনের রুটি ও নুডুলসের মতো খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এরইমধ্যে গম, আটা ও এসব থেকে তৈরি সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

রাশিয়া বিশ্বের প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ এবং এই তালিকায় ইউক্রেনের অবস্থান পঞ্চম।দু’টি দেশেরই নতুন খাদ্যশস্য আহরণের মৌসুম চলে এসেছে। এ অবস্থায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে এসব খাদ্যশস্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে পারবে না। ফলে গোটা বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisements