নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী আইভী
Advertisements

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হলেন আইভী।

আজ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফল অনুযায়ী- নৌকা প্রতীকে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। তাদের ভোটের পার্থক্য ৬৯ হাজার ১০২টি। জয়ের খবর পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে আইভীও বিজয় সূচক চিহ্ন দেখান।

এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নাসিক নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নিজের নির্বাচনি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, জনগণকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইভিএমের কারচুপির কারণে আমার এই পরাজয়।

ভোট ঘিরে বারবার তাকে ‘ডিস্টার্ব’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। সকাল ১১টায় শহরের দেওভোগে শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোটদান শে‌ষে সাংবা‌দিক‌দের আইভী বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় নিশ্চিত।’ এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করার আহ্বান জানান ডা. আইভী।

এর আগে পরপর দুইবার নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করেন। পরের বার ২০১৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরাজিত করেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে।

সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন আইভী। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন (এখন পৌর মেয়র বলা হয়)।

Advertisements