তাজিকিস্তানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জাহির আগ্ববার বলেছেন, তিনি প্রায় গোটা বিশ্বের মতো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন। তিনি তার দূতাবাসের জন্য সাবেক আশরাফ গনি সরকারের শেষ মুহূর্তে পাঠানো লাখ লাখ ডলার কাবুলে ফেরতে পাঠাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান গোটা আফগানিস্তানের দখল নিলেও বিশ্বের কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। বিশ্বব্যাপী সাবেক আফগান সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে তালেবান সরকারের যোগাযোগ রক্ষা করার ধরন বা এসব দূতাবাসকে তালেবান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ১৫ আগস্ট সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে গনি প্রশাসন তাজিকিস্তানের আফগান দূতাবাসের জন্য সাত লাখ ৮৬ হাজার ডলার অর্থ পাঠিয়েছিল। সে সময় গুজব উঠেছিল গনি তাজিকিস্তানে পালিয়েছেন।পরে অবশ্য তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাওয়া যায়।
তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তাজিকিস্তানে অর্থ পাঠানোর বিষয়টি জানতে পেরে ওই দূতাবাসকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কাবুলে ফেরত পাঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। কিন্তু দোশাম্বেতে নিযুক্ত গনি সরকারের রাষ্ট্রদূত জহির আগ্ববার এই অর্থ তালেবান সরকারের কাছে ফেরত পাঠাতে রাজি নন।
তিনি শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, এই অর্থের ওপর তালেবানের কোনো অধিকার নেই। তিনি দাবি করেন, তার দূতাবাস ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের’ কূটনৈতিক মিশন এবং এই মিশন বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ পেয়ে থাকে। কাজেই এই অর্থের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করার অধিকার তালেবান সরকারের নেই।
আশরাফ গনির শাসনামলে আফগানিস্তান ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশের শাসনব্যবস্থার নাম দিয়েছে ‘ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান’।
রাষ্ট্রদূত জহির আগ্ববার বলেছেন, তার দূতাবাস তালেবানকে চেনে না। তিনি আরো দাবি করেন, “আমরা তাজিকিস্তানে বসবাসরত অসংখ্য আফগান নাগরিককে নিয়ে একটি ছোট্ট আফগানিস্তানে বসবাস করছি।” আফগান রাষ্ট্রদূত বলেন, তাজিকিস্তানে ১০ হাজার আফগান নাগরিক বসবাস করেন যাদেরকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য বিপুল অংকের অর্থ প্রয়োজন।
পার্সটুডে