শুক্রবার নরম ভাষী ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর দল থেকে সামিয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন। খবর আল-জাজিরা।
দারেসসালামে ৬১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট সামিয়া শপথ নেন। এ সময় তাঁর পরনে ছিল কালো স্যুট ও লাল ওড়না। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। শপথ অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সামিয়াকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। সামিয়া বলেন, “আমি, সামিয়া সুলুহু হাসান, সৎ থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং তানজানিয়ার সংবিধান মেনে চলা এবং রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
তানজানিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রয়াত মাগুফুলির দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা। সামিয়া সেই সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়ায় সাহলে ওয়ার্ক জুয়েদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও একজন নারী।
সামিয়া হাসানের রাজনৈতিক জীবন ২০ বছরের। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পর্যন্ত পৌঁছেছেন তিনি। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিনদুজি দলের মাগুফুলির রানিং মেট হিসেবে সামিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত বছরের অক্টোবর মাসে মাগুফুলি ও সামিয়া পুনর্নির্বাচিত হন। তবে ওই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে সামিয়াকে দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চামা চা মাপিনদুজি দলে মাগুফুলির মিত্র হিসেবে পরিচিত নেতাদের চাপের মুখে পড়তে পারেন সামিয়া।
সামিয়া হাসান তানজানিয়ার বাইরে খুব বেশি পরিচিত নন। গত বুধবার দেশটির সরকারি টিভিতে তিনি মাগুফুলির মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাগুফুলি মারা যান। তবে এর আগে প্রায় তিন সপ্তাহ তাঁকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। কেন তাঁকে দেখা যায়নি, তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। গুজব রয়েছে যে তিনি কোভিড ১৯–এ সংক্রমিত ছিলেন।