নির্বাচন পরবর্তী পদক্ষেপ
Advertisements

৭ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এবং নির্বাচন পরবর্তী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকে কিছু বলা হবে না।

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বাংলাদেশের এই নির্বাচনের ফলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি এক রকম রহস্য রেখে দিলেন। বললেন, কোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বা হবে না, সে বিষয়ে আমি অবশ্য কখনোই আগাম পূর্বাভাষ দেবো না।

মুশফিক তার কাছে জানতে চান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব অনার অর্জনকারী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বছর শুরুর দিনে দেয়া রায়ের বিষয়ে আপনি কী আপনার প্রতিক্রিয়া শেয়ার করবেন, রিপোর্ট হয়েছে যে- ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশের শ্রম আদালত প্রভাবিত হয়ে এই রায় দিয়েছে? এই চ্যালেঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে নিচ্ছে- এই চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের আইন শৃংখলা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের শাস্তি দেয়ার মতো তুলনীয় মামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে। বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মী, মিডিয়া এবং অধিকারকর্মী একই রকম পরিস্থিতিতে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। সাংবাদিক মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা তার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে প্রতিফলিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাকে আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই এই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি।

আমাদের দিক থেকে অবাধ ও স্বচ্ছ আইনগত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছি। পরবর্তী অন্য যেকোনো পরিবর্তন আমরা ঘনিষ্ঠভাবে অব্যাহতভাবে অনুসরণ করবো।

এ পর্যায়ে মুশফিক আবার জানতে চান, এ সপ্তাহান্তে (৭ই জানুয়ারি) হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন। এ নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দেয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক পরামর্শ আমলে নিচ্ছেন না। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে এমন ডামি নির্বাচনকে কি যুক্তরাষ্ট্র সরকার বৈধতা দেবে? যদি উত্তর হয়- না। তাহলে এ শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বিবেচনা করছে বাইডেন প্রশাসন? বিবিসি যেমন রিপোর্ট করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে, যার শিরোনাম- ‘বাংলাদেশ: দ্য ইলেকশন দ্যাট হ্যাজ টার্নড ইনটু এ ওয়ান-ওমেন শো’। মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমার মনে হয় এর আগে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। কিন্তু যেহেতু এটা নতুন বছর, তাই আমি আবারও এ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। বহুবার আমরা এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলেছি। এই নির্বাচনকে আমরা খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।

Advertisements