
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কমসংখ্যক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একমত হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যথায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) যমুনায় মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা ‘রাইট টু ফ্রিডম’-এর সভাপতি উইলিয়াম বি. মিলাম এবং সাবেক কূটনীতিক জন দানিলোভিচের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস জানান, ছয়টি কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে। এর পর দলগুলো ‘জুলাই চার্টারে’ স্বাক্ষর করবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দিকনির্দেশনা দেবে। অন্তর্বর্তী সরকার চার্টারের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে, আর বাকিগুলো পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দুই কূটনীতিকের সঙ্গে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ার প্রভাব, আগের শাসনামলে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা, সার্ককে সক্রিয় করার উদ্যোগ এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় উইলিয়াম বি. মিলাম ও জন দানিলোভিচ প্রধান উপদেষ্টাকে ‘রাইট টু ফ্রিডম’ সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশে সংস্থাটির কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা জানান।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা উইলিয়াম বি. মিলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সংস্কারের সুযোগ তৈরি করেছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে।’
এদিকে, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জন দানিলোভিচ বলেন, ‘ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’