মেয়র জাহাঙ্গীর শোকজ
Advertisements

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী রাজনৈতিক সম্পর্ক রেখেছেন তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার সন্ধ্যায় শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে মহানগর কমিটির বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলীকে প্রধান করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সভায় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এই প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কারো কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবে না। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় অংশ নেয়া মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বর্ধিত সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি হলো বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় কোন কোন নেতাকর্মী যোগাযোগ রাখছে এবং বিগত সময়ে দলের সঙ্গে কোন নেতার কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই কমিটি দুই ভাগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। এর একটি জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করার পর বহি ষ্কারের আগ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের কার কী ভূমিকা ছিল সেটি নির্ধারণ করবে। অপরটি জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের পর তার সঙ্গে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ আছে কিনা বা কার কী ভূমিকা ছিল সেটি অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। এই কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কারো বিরুদ্ধে কোনো সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বক্তব্য শুনে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ মাসের ২১ তারিখ পরবর্তী সভায় তা নিয়ে আলোচনা করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisements