আমেরিকার প্রখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেইসুর হার্শ আবারো বলেছেন, জার্মানিকে শাস্তি দেয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাল্টিক সাগরের তলদেশে নর্ডস্ট্রিম পাইপলাইন উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেন। ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলয অস্বীকৃতি জানানোর কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পরিকল্পনা করেন বলে জানান সেইমুর হার্শ।
চায়না ডেইলিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক সেইমুর হার্শ বলেন, জার্মান চ্যান্সেলর শোলয দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। এই বিষয়টি ভালোভাবে নেন নি প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি এজন্য হয়তো জার্মানিকে শাস্তি দেয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন এবং পাইপলাইনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে তাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। মার্কিন সাংবাদিকের এই সাক্ষাৎকার গতকাল শুক্রবার চায়না ডেইলিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত সেপ্টেম্বরে মাইন বিস্ফোরণের এ সিদ্ধান্ত নেন। তার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনে যুদ্ধ খুব বড় আকারে চলছিল না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধে সমর্থন দিলেও শরতের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ স্থবির অবস্থায় ছিল এবং দুই পক্ষ খানিকটা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল।
পাইপলাইনে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে সেইমুর হার্শ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বোকামিপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পাইপ লাইনে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার ফলে বাইডেন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে আগামী শরৎ এবং শীতকালে ইউরোপের জনগণ ব্যাপক কষ্টের মধ্যে পড়বে।
আমেরিকার এ অনুসন্ধানী সাংবাদিক আরো বলেন, “আমার সরকারের এই ধরনের কাজকর্মের সঙ্গে আমি অনেক বেশি অভ্যস্ত। তারা সব সময় এরকম অনেক কাজ করে থাকে।”
ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের সময় সেইমুর হার্শ বহু সংখ্যক অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরির কারণে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। গত মাসে তিনিই প্রথম মার্কিন পত্র-পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন যাতে তিনি সরাসরি দাবি করেন যে, রাশিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়া নর্ডস্ট্রিম পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।