বাংলাদেশে এলিট ফোর্স হিসেবে অভিহিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সদস্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্য ইভান স্টেফানেক ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তিনি র্যাব এবং তার বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথাও উল্লেখ করেন।
চিঠিতে তিনি আরো বলেন, এসব ঘটনাগুলোর দেখে আমার অনুরোধ আপনার কাছে যে ক্ষমতা আছে তা ব্যবহার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করুন।
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংগঠন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-সহ ওই ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাকরোইক্সকে এই চিঠি দেয়।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, শান্তি মিশনে না নেওয়ার জন্য যে ১২ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে, এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নিবেদনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘ যখন শান্তি রক্ষা মিশনে কোনো দেশ থেকে সদস্য নেয়, তখন তারা খুব ভালোভাবেই যাচাই বাছাই করে নেয়। শান্তি মিশনে না নেয়ার জন্য যে ১২ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন, এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাদের দেশের প্রতি কোনো মমত্ববোধ নেই। তবে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কোনো লাভ হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড. মোমেন বলেন, র্যাব সদস্যদের কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দরকার থাকলে, যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করব, তাদের ট্রেনিং দিন।
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বাদ দিতে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংগঠন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-সহ ওই ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাকরোইক্সকে এই চিঠি দেয়। র্যাবের হাতে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়কে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো প্রামাণ্য হিসেবে তুলে ধরেছে। এই বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।