শিশুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতা চালানোর কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে নেয়া এ সিদ্ধান্ত শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিল।
জাতিসংঘের মহাসচিব প্রতি বছর নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রতিবেদন পাঠান যেখানে বিশ্বব্যাপী সংঘাতে ‘শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় সম্পৃক্ত পক্ষগুলোর’ তালিকা দেয়া হয়। এতে শিশুদেরকে হতাহত করার প্রমাণ এবং তাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের চলতি বছরের প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। তবে তার আগেই ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরডানকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় গুতেরেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন এরডান। তিনি বলেছেন, “একজন মাত্র ব্যক্তিই ইসরাইলকে লজ্জার তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরাইলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।”
ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে ফেলা ইহুদিবাদী বাহিনীকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী’ হিসেবে দাবি করেন। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজও বলেছেন, জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে তেল আবিবের সঙ্গে এই সংস্থার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৫,৫৭১ শিশু নিহত হয়েছে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯ জনই ‘ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। এছাড়া ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪ জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত এক দিন খেয়ে থাকে।