চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নগর পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত ও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক আজ সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে বলেন, আনোয়ারা থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় নগর পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আনোয়ারার বৈরাগ গ্রামের আবদুল মান্নান বাদী হয়ে ছয় পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
ছয় পুলিশ সদস্য হলেন, নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী।
এর আগে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ বড়ুয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই দিন তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাঁর কাছ থেকে বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বরখাস্ত হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। সৌরভ চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
ওই ঘটনার এক দিন আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ঘটনায় করা মামলায় সীতাকুণ্ড থানার দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠান আদালত। তাঁরা হলেন এসআই সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম।