ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়নালাই গ্রামের মো. রহমাতুল্লাহ (২৩), যিনি এক বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন, অবশেষে ভারত থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিরাপদ হেফাজতে রয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট গভীর রাতে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে রহমাতুল্লাহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জঙ্গি সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে।
রহমাতুল্লাহর ভাষ্যমতে, তাকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় নয় মাস আটকে রাখা হয়। এরপর আটককারীরা তার জীবনের নিরাপত্তার কথা বলে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। যশোরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুই ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া হয়।
রহমাতুল্লাহকে ভারতের গোপালনগর এলাকায় ছেড়ে দেয়া হলে পাসপোর্ট না থাকায় তিনি ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাজা ভোগ শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গতকাল (২১ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে তাকে বাংলাদেশে পাঠায়।
দেশে ফিরে রহমাতুল্লাহ প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় যান। সেখান থেকে তাকে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. ফজলে বারীর কাছে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার জঙ্গি সংক্রান্ত ভিডিও বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
এক বছর পর রহমাতুল্লাহর ফিরে আসার খবরে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে পুরো ঘটনা ঘিরে রহস্য এবং উদ্বেগ এখনও কাটেনি।
এই ঘটনা গুম ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের নিয়ে সমাজে বিদ্যমান উদ্বেগ পুনরায় সামনে এনেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।