অন্যান্য স্থানের তুলনায় নর্থ ক্যারোলাইনার ডারহামসহ বেশকিছু স্থানের গুগল অফিসের কর্মীরা কম বেতন পান। প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই এ বেতনবৈষম্য নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন সেখানকার কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে দি অ্যালফাবেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (এডব্লিউইউ) এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ একটি পিটিশন দায়ের করেছে। সেখানে বলা হয়, বেতনবৈষম্য কর্মীদের কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।
কেবল ডারহামই নয়, হাস্টন, আইওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার কিছু অফিসে নতুন কর্মীদের ক্ষেত্রে এমন বেতনবৈষম্য তৈরি করেছে গুগল। মূলত ২০২০ সালে নতুন কর্মী হিসেবে যারা এ শহরগুলোয় কাজ করতে এসেছিলেন তারা এ বৈষম্যের আওতায় পড়েছেন। অবশ্য এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, এসব এলাকার জীবনযাপনের খরচ তুলনামূলক কম। সেজন্য অন্যান্য দামি শহর এলাকার কর্মীদের চেয়ে তাদের মজুরি কম ধরা হয়। তবে গুগল বলছে, যে স্থানেই কর্মী নিয়োগ দেয়া হোক না কেন, সে স্থানের অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের তুলনায় সর্বোচ্চ বেতনই দিয়ে থাকে গুগল।
ভুক্তভোগী কর্মী কম মজুরির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানান। পাশাপাশি আঞ্চলিক বেতন পার্থক্য কীভাবে নির্ধারিত হয় সে সম্পর্কে স্বচ্ছ বক্তব্য প্রত্যাশা করেন তারা।
গুগলের কর্মীদের বেশির ভাগ ঐতিহাসিকভাবে সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকাকেন্দ্রিক, যা বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্থানগুলোর একটি। কিন্তু ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এর পর থেকে তারা প্রতিষ্ঠানের কর্মী বাহিনীতে বৈচিত্র্য আনতে অন্যান্য স্থান থেকেও নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হবে কাজের ক্ষেত্র।
সে বছরই এক ব্লগপোস্টে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই জানান, প্রতিষ্ঠানে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে চান তারা। এ ঘোষণার পর ২০২১ সালে এসে দেখা যায়, গুগলের মোট কর্মীর ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ কর্মী। এর ঠিক এক বছর আগে যে সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।