গাজীপুরে হত্যার পর ভাগনির মরদেহ পানিতে ফেলে দেয় খালু
Advertisements

গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক সাবিনা (২০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পিবিআই।

এ ঘটনায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দর্শা মোড়লবাড়ী গ্রামের আবদুল ছালামের ছেলে তুলা মিয়াকে (২৪) ভালুকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিহত সাবিনা একই উপজেলার জোকা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। তিনি খালা-খালুর সাথে কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কামালের বাড়িতে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

সাবিনা ২০১৯ সালের ২৫ জুন বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দুদিন পর শ্রীপুরের রাজাবাড়ী বাজার এলাকার পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের খালা ফুলেমা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। কিন্তু থানা পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

শুক্রবার জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবিনার আগে চারটি বিয়ে হয়েছিল। বিভিন্ন ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে সাবিনার সাথে খালু সুজনের প্রায় সময় বাকবিতণ্ডা হত।

নিখোঁজের দিন সাবিনাকে তার খালার শ্বশুর গালিগালাজ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে চড় মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খালু তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন।

এ ঘটনায় মামলা করার হুমকি দিয়ে সাবিনা বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে সুজন ও একই বাড়ির ভাড়াটিয়া তুলা মিয়াসহ পাঁচজন মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ সিমেন্টের পিলারে বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে দেন।

Advertisements